।। প্রথম কলকাতা ।।
Parliament MPs Suspension: কেন সাসপেন্ড করা হল ১০০র কাছাকাছি সাংসকে? প্ল্যান করেই সাসপেন্ড হয়েছেন সাংসদেরা কেন এমন বলা হচ্ছে? ৭৬ জন সাংসদ শীতকালীন অধিবেশনে না থাকলে কত বড় ক্ষতি? যা ঘটল এমন কী ঘটেছে কখনও?সোমবার বিকেলে হঠাত করে একটা খবর বারবার বলা হল বেনজি, নজিরবিহীন সংসদের ইতিহাসে কবে এমনটা ঘটেছে তেমন মনে করা যাচ্ছে না। জানা গেল একসঙ্গে ৭৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একাধিক সাংসদকে। তালিকায় রয়েছেন অন্য বিরোধী দলের সাংসদরাও, কিন্তু কেন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলছেন এটা প্ল্যানিং করে করেছেন বিরোধীরাই। এই শীতকালীন অধিবেশনেই কার্যত পেশ করা হত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’। যখন তফশিলীদের নিয়ে কোনও ভালো কাজ করতে চায় সরকার যখন মহিলাদের উন্নতিতে কোনও বড় কাজ করার প্রয়াস করে মোদী সরকার তখন কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের অনেক সমস্যা হয়। এখন প্রশ্ন হল রাজ্য থেকে ৪৫ জন ও লোকসভা থেকে ৩৩ জন সাংসদকে ঠিক কেন বহিস্কার করা হল? বুধবার লোকসভায় রংয়ের ধোয়া উড়িয়ে হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলছেন তাঁরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা দলনেতা অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস সাংসদদের মতই স্লোগান তুলছিলেন তৃণমূল ও ডিএমকে সাংসদরাও। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি সাসপেন্ড করেন লোকসভা ৩৩ সাংসদকে।
অন্যদিকে অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় বিরোধী সাংসদদের নিজ নিজ আসনে গিয়ে বসতে বলেন, কিন্তু তাতে কর্ণপাতও করেননি তাঁরা। ধনকড়কে বারবার বলতে শোনা যায় ‘মাননীয় সাংসদদের সংসদে নিয়মানুযায়ী আচরণ করার অনুরোধ করছি, কিন্তু বিশৃঙ্খলা না থামায় শেষে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জানা যাচ্ছে মূলত দুটি প্রশ্নে শোরগোল শুরু হয় সংসদে। এক, সংসদে হামলায় অভিযুক্তকে যেই মহীশূরের বিজেপি সাংসদ ‘পাস’ দিয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল? দ্বিতীয়ত, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ কেন এখনও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সংসদে কিছু বলছেন না?
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী রয়েছেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়, সুনীল মণ্ডলরা এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা এদিকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাসপেনশনই রয়েছে এদের। বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদী সরকারকে কার্যত বিরোধীশূন্য সংসদের অধিবেশন চালিয়ে যাবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম