Interesting Fact : বিমান চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়েন পাইলটরা! এমন অদ্ভুত নিয়ম জানলে অবাক হতে বাধ্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

Interesting Fact : সাধারণত আমরা যখন কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করি তখন তার চালকের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা থাকে। আমরা মনে করি চালক তাঁর কাজ একেবারে দায়িত্ব সহকারে করছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা পুরোপুরি চালকের হাতে অর্পণ করি আমরা। ঠিক তেমনি আমরা যখন বিমানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় রওনা দিই তখনও আমাদের মনে হয় পাইলট নিজের দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করবেন। তাই আকাশে বিমান ভাসলেও বিশেষ চিন্তা থাকে না আমাদের। কিন্তু জানেন কি বিমান চলাকালীন মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়েন পাইলটরা!

এটা শুনে কি মূর্ছা যাওয়ার জোগাড়? এই তথ্য একেবারে সত্য। আমরা যখন বিমানে বসে নিশ্চিন্তে ফ্লাইট ল্যান্ড করার অপেক্ষা করি ঠিক সেই সময় পাইলটরা খানিকটা ঘুমিয়ে নেন। অবশ্য এই কাজটি করার জন্য তাদের অনুমতি দেওয়া রয়েছে। আর তার সঙ্গে রয়েছে কঠোর কতগুলি নিয়ম। যা পালন করতেই হবে পাইলটদের। আর এই ঘুমিয়ে পড়ার পেছনে রয়েছে যুক্তিসম্মত কারণ। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যত বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশই ঘটে শুধুমাত্র পাইলটের ক্লান্তির কারণে । অনেক সময় দূরপাল্লার কোন রুটে বিমান চালনা করার ফলে ক্লান্ত হয়ে যান পাইলটরা।

সে ক্ষেত্রে তাঁরা ককপিটে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিতে পারেন । কাজের চাপের কারণে অল্প উড়ানেও এই কাজটি করতে পারেন বিমান চালকরা। শুধুমাত্র পাইলট নয় যে কেবিন ক্রুরা রয়েছেন তাঁরাও বিশ্রামের জন্য সময় নিতে পারেন। একে বলা হয় এয়ারক্রাফ্ট বাঙ্ক রেস্ট। ককপিট থেকে দূরে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা থাকে পাইলটদের জন্য। কিন্তু কোন কারনে যদি পাইলট সেই বেড ফাঁকা না পান সে ক্ষেত্রে তিনি বিজনেস ক্লাস বা প্রথম সারির বাণিজ্যিক যাত্রীদের আসন দখল করতে পারেন কিছুক্ষনের জন্য।

এই বিশ্রামের নিয়ম জানেন ?

পাইলট বিমানের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন এই বিষয়টি শুনে যতটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়বেন সাধারণ মানুষ, এই বিশ্রাম নেওয়ার নিয়ম শুনলে হয়তো সেই আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটতে পারে । বেশ কিছু কড়া নিয়ম রয়েছে। যেমন ধরুন ককপিটে দুজন পাইলট থাকেন। তাদের মধ্যে একজন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম নিতে পারবেন। অন্য জনকে ককপিটে থাকতে হবে বিমান চালনা করার জন্য। পাইলট সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে পারেন। তবে অবশ্যই দুজন পাইলটকে এই বিষয়ে একমত হতে হবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিশ্রাম নিতে হবে।

যিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেই পাইলট জেগে ওঠার পরেও কিছুক্ষণ তাকে বিমান পরিচালনা করতে দেওয়া হয় না। কিছুটা স্থিতিশীল হলে ফের তিনি কাজে ফিরে আসতে পারেন। বিশ্রাম শেষে পাইলট অন্য অপারেটিং পাইলট এর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য জেনে নেবেন। তবেই সঠিকভাবে বিমানটি পরিচালনা করা সম্ভব হবে তাদের পক্ষে। অর্থাৎ কাজের ক্লান্তি কাটাতে পাওয়ার ন্যাপ নেওয়ার অনুমতি পান পাইলটরা। সে ক্ষেত্রেও তাদের ঘিরে থাকে একাধিক নিয়ম কানুন। কারণ যাত্রী সুরক্ষার দায়িত্ব পুরোটাই থাকে তাদের কাঁধে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version