G 20 Meeting: পাকিস্তানের জি২০ প্রোপাগান্ডা ঘেঁটে ঘ! চিনের ষড়যন্ত্র শাপে বর হল ভারতের

।। প্রথম কলকাতা ।।

G 20 Meeting: পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ধোপে টিকল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ অনুরোধ করলেন বিলাবল ভুট্টো। এত প্ল্যানিং-প্লটিং করেও মুসলিম দেশগুলোকে রুখতে পারল না পাকিস্তান। জি২০ তে ভারতের কূটনৈতিক জয় কোথায় জানেন? পাক-চিনের একটা ভুলে কাশ্মীর আরও ফেমাস হয়ে গেল। হ্যাঁ চিনের ষড়যন্ত্র শাপে বর হল ভারতের৷ জি ২০ একটা বৈঠক নিয়ে এত কথা এত আলোচনা হত না যদি না পাকিস্তান আর তার পরম মিত্র চিন এই ফাঁদটা না পাতত। বিলাবল ভুট্টো ও তার গোটা টিমের এত বড় প্ল্যান ভেসতে গেল নিমেষেই। এখানে ভারতের ম্যাজিক শুধু কাশ্মীর নয়৷ কূটনীতি নিয়ে যাওয়া হল অন্য ট্র্যাকেই। এখন পাকিস্তানের আর হাত কামড়ে লাভ নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশরের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলোকে কি কাশ্মীরে আসার থেকে আটকাতে পারলো পাকিস্তান?

টানা তিরিশ বছর পাকিস্তান নানা কার্যকলাপ করে কাশ্মীরকে তৈরি হতে দেয়নি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন বিলাবল ভুট্টো এসসিও মিটিংয়ে এসে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গিয়েছিলেন জি২০ বৈঠক সফল হবে না। কিন্তু দেখুন কি হল আর কি না হল সেটা পরিস্কার৷। বাংলাদেশ, আরব আমিরাত সহ OICর একাধিক দেশ জি২০ বৈঠকে যোগ দিল। আর শুধু যোগ দেওয়া নয় কাশ্মীরের একের পর এক সৌন্দর্যের স্বাদ নিলেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা। সেটা শিরাকায় হোক বা ডাল লেকের অপূর্ব দৃশ্য বাদ গেল না কিছুই।

কূটনৈতিক মহল বলছে, পাকিস্তান এবং তার পাল্লা পড়ে চিন যদি জি ২০ বয়কট না করত তাহলে এতটা হাইপ তৈরিই হত না। এই মিটিং নিয়ে মনে রাখতে হবে এটা কোনও মন্ত্রীদের বৈঠক নয় এটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং। সাধারণত ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক এতটা কভারেজ বা ফুটেজ পায় না। কিন্তু চিন এটাকে বয়কট করে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সৌদি সরকার এই বৈঠকে কাউকে না পাঠালেও সেখানকার কিছু ব্যবসায়ী এই বৈঠকে এসেছেন। ইন্দোনেশিয়াকে নিয়ে নানান জল্পনা ছিল যে তারা পাকিস্তানের কথা শুনতে পারে। কিন্তু না ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, জার্মানি, কানাডার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াও ভাগ নিল জি২০তে। ভারতের কাছে এর মধ্যেও রয়েছে ধাক্কা খাওয়ার কারণ।

তুরস্ক কিন্তু যোগ দেয়নি এই বৈঠকে। তুরস্ককে গম পাঠিয়েছিল ভারত, সঙ্গে অস্ত্র বিক্রিরও কথা হচ্ছে। এটাও লক্ষ্য করতে হবে তুরস্ক কিন্তু এর মাঝে চিনের মতো কোনও অ্যাগ্রেসিভ মন্তব্য করেনি ভারতকে নিয়ে। ২০টার মধ্যে ১৭টা দেশ কাশ্মীরে এল দেখে গেল এখানকার পরিস্থিতি৷ পাকিস্তান মিথ্যুক প্রমাণিত হয়ে গেল আরও একবার। কারণ কাশ্মীর নিয়ে দুনিয়াকে যে ছবি দেখানোর চেষ্টা হয় সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। প্রশ্ন হল এবার কি মুখে কুলুপ আটবেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী? জি২০ মিটিং থেকেই পাকিস্তানের নাম না করে তোপ দাগেন কাশ্মীর লেফট্যানেন্ট গর্ভনর। আগের নিজের দেশের জনতাকে সামলান পরিস্কার বলে দেন কাশ্মীর লেফট্যানেন্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাশ্মীর জি২০র এই বৈঠক কতটা লাভদায়ক হবে এবার সেই ফলই বোঝা যাবে আগামীদিনে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version