ইন্ডিয়ান আর্মির টার্গেটে পাকিস্তান! গোপনে অ্যাটাকের প্ল্যান ইসলামাবাদের ? আড়াই বছর আগের সিক্রেট ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের ইনসাস রাইফেল যখন তখন ঝাঁঝরা করে দেবে পাকিস্তানকে। দূরবীন থেকে চোখ সরাচ্ছে না ইন্ডিয়ান আর্মি। বর্ডারের ওপারে ঘাপটি মেরে পড়ে আছে পাকিস্তান। আড়াই বছর আগে পাকিস্তানকে কী ডোজ দিয়েছিল ভারত? চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালানোর প্ল্যান নেই তো ইসলামাবাদের? বড় ভুল হবে, বিপদ বুঝলে, ফোঁস করতে সময় নেবে না ভারতীয় সেনা। যারা সীমান্তের কাছে গোপন সুরঙ্গ দিয়ে জঙ্গি ঢোকাতে পারে ভারতে, তারা আর যাই হোক চুপ করে বসে থাকতে পারে না। গত বছরই ভারত-পাক সীমান্তে এরকম একটার হস্যময় গর্তের হদিশ মিলেছিল। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো গত আড়াই বছরে সীমান্তের ওপার থেকে একবারও গোলা বর্ষণ করেনি পাকিস্তান। কিন্তু তা বলে হাত গুটিয়ে নিশ্চিন্তে বসে নেই ভারত।

২৪×৭ সবসময় পাকিস্তানের দিকে পাকিস্তানের দিকে তাক করে রেখেছে ইনসাস রাইফেল। দূরবীনের চোখ রেখে বসে আছে ভারতীয় জওয়ানরা। কোনো সময় যদি ওপার থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়, তার কড়া জবাব দেওয়ার জন্য রেডি ভারতবর্ষ। ভারত যুদ্ধ চায়না কিন্তু হামলার পাল্টা দিতে জানে দেশটা। গত কয়েক দশক ধরেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের পরিস্থিতি ঠান্ডা করার, কন্ট্রোলে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে কখনওই আমল দেয়নি পাকিস্তান। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মাঝেমধ্যেই চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালিয়েছে ইসলামাবাদ। ওই যে শুরুতেই বললাম শান্ত থাকতে শেখেনি পাকিস্তান। তাই ভরতকে টার্গেটে রেখে নির্বিচারে গুলি, বোমা বর্ষণ পাকিস্তান এর কাছে জলভাত। শুধুই তাই? সীমান্ত পার করিয়ে পাঠিয়েছে সন্ত্রাসবাদী। আবার কখনও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো, অস্ত্র এবং মাদক সরবরাহ হয়েছে ওপার থেকে। এই সবকিছু বন্ধ করতেই বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় বসেছে ভারত।

কিন্তু লাভ হয়েছে কি আদৌ? ২০২১ এ কী ঘটে গেছিল জানেন? ভারতের দেওয়া ডোজ কী কাজে লেগেছে? ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ বার তিনেক গুলি চলেছে। চারজন জওয়ান আহত হয়েছেন। এর বাইরে আর তেমন কোনও ‘অ্যাডভেঞ্চার’ হয়নি সীমান্তের ওপার থেকে। মনে করে দেখুন সেই বছরই, মানে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটা বৈঠক হয়েছিল দুই দেশের সেনার ডিরেক্টরেট জেনারেল স্তরে। সেই বৈঠকে পাকিস্তানকে ঠিক কী বলা হয়েছে, সুরক্ষার স্বার্থে তা আজও প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে পাকিস্তানের অপকর্ম। বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।তফাৎটা জানুন তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। ২০২০ সালে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলাগুলিতে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ২৪ জন ভারতীয় জওয়ান যেখানে গুরুতর আহত হয়েছিলেন, একই অবস্থা হয়েছিল ২২ জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিকের; সেখানে

আড়াই বছর আগে হওয়া সেই বৈঠকের পর মাত্র তিনবার ওপার থেকে উড়ে এসেছে গুলি। যাতে আহত হয়েছেন চার জওয়ান। সবথেকে বড় কথা, সেই গুলি চলার ঘটনাও ঘটেছিল বৈঠকের ঠিক পরপর। তারপর থেকে আসেনি গুলি, গোলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেক্সট ইন ওই বৈঠকে নিশ্চয়ই ভারতের পক্ষ থেকে এমন কিছু মেসেজ দেওয়া হয়েছিল ইসলামাবাদকে, যা তাদের চিন্তার কারণ হয়েছে। এর সঙ্গে তো পাকিস্তানের অচলাবস্থা রয়েছেই। অর্থনৈতিক ও সামরিক- উভয় দিক থেকেই পাকিস্তান ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে ভারতের থেকে আর ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমীকরণের পাশাপাশি মানবিক বিষয়ে জোর দিয়েই মূলত প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি ভারত। কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে যুদ্ধবিরতি লংঘন হলে ছেড়ে দেবে না ভারত। সব সময় সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছে ইন্ডিয়ান আর্মি। বিভিন্ন সরকারি, কূটনৈতিক প্রক্রিয়াও ধারাবাহিকভাবে চলছে। ফ্ল্যাগ মার্চ, প্রতি সপ্তাহে ডিরেক্টরেট জেনারেল লেভেল এর বৈঠক সবটাই হচ্ছে নিয়ম মেনে। উনিশ থেকে বিশ হলেই ভারত দেখিয়ে দেবে নিজেদের শক্তি নিজেদের ক্ষমতা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version