।। প্রথম কলকাতা ।।
Meghalaya Assembly Election: নির্বাচন কমিশনের মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলির। কোন দল প্রার্থী হিসেবে কতগুলি আসনে কার কার নাম ঘোষণা করবে এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট কৌতুহল ছিল। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে (Meghalaya Assembly Election) ৬০ টি আসনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫৫ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন অগাস্টিনের। তবে প্রার্থী পদ ঘোষণা হওয়ার পরেই দলবদলের সিদ্ধান্ত তাঁর। মেঘালয়ের রাজনীতিতে অগাস্টিন ডি মারাক (Agastin D Marak) নিঃসন্দেহে একটা বড় নাম। মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি এবং দাদেংগরে বিধানসভার প্রার্থীর কংগ্রেস ত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই দলের কাছে একটা বড় ধাক্কা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত সোমবার অগাস্টিন কংগ্রেসের (Congress) সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর তিনি কোন দলে যোগদান করবেন সেই নিয়ে অবশ্য কিছুই স্পষ্ট করেননি। কিন্তু দেখা যায় পরের দিন নিজের অনুগামীদের নিয়ে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে ঘাসফুল শিবিরে (TMC) নাম লেখান তিনি। যদিও অগাস্টিন স্পষ্ট করেছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন রদবদলের পর আর তিনি মেঘালয় বিধানসভা ২০২৩ এর নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন না। বরং তৃণমূলকে মেঘালয়ে জেতার জন্য তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে আগ্রহী অগাস্টিন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, দাদেংগরে বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে রূপা মারাকের । তাঁর হয়েই প্রচার করবেন অগাস্টিন।
জানা যায়, সে রাজ্যের মন্ত্রী পদের দায়িত্ব একসময় সামলেছিলেন অগাস্টিন ডি মারাক তিনি মেঘালয়ের সরকারের খাদ্য ও বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। মেঘালয় বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০১৮ সালে। তবে এই প্রথমবার নয় , সূত্র বলছে এর আগেও ২০১৩ সালে দলবদলের ইতিহাস রয়েছে অগাস্টিনের। সেই সময় তিনি রাকসমাগরে প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে। ২০১৮ সালেও তিনি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবারে প্রার্থী পদ ঘোষিত হওয়ার পরে অগাস্টিনের আচমকাই দল বদলে মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট ফলাফলে যে প্রভাব পড়বে তা আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববাংলা সংবাদের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অগাস্টিন দলবদলের পর সংবাদমাধ্যমকে জানান, কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হতো না মেঘালয়ে বিজেপিকে হারাতে গেলে এখন তৃণমূলই ভরসা। এই কারণে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে চলেছে ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম