।। প্রথম কলকাতা ।।
একদিকে হু হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি! অন্যদিকে ভারী বর্ষণ ৭ জেলায়! তবে কি পুজোর আগে বানভাসি হতে পারে রাজ্যের একাংশ? জরুরী বৈঠক নবান্নে! কি কি সতর্কতা জারি করা হলো? লাগাতার বৃষ্টি! বাংলার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খন্ডেও গত কয়েকদিনে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে।আর যার ফলে রীতিমত ফুঁসছে একাধিক নদী।ভারী বৃষ্টিতে দামোদরের জল বাড়ায় মাইথন, পাঞ্চেত, এবং দুর্গাপুর ব্যারেজে বাড়ছে জলের চাপ। সেই জলের চাপ কমাতেই দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে জল।আবার ঝাড়খণ্ডে এবং বঙ্গে ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে অজয়, দামোদর সহ একাধিক নদীতে। যার জেরে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম দুই বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে প্লাবনের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই জল ঢুকেছে চাষের জমিতে।
সোমবার মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। মাইথন থেকে ছাড়া হয় ৫৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয় ৭৫ হাজার কিউসেক জল। অন্যদিকে,দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৫ কিউসেক জল। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের ৭ জেলায় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে সোমবার ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক হলো নবান্নে। ইতিমধ্যেই ডিভিসি সংলগ্ন জেলাগুলিতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
টানা বৃষ্টিতে দারকেশ্বর নদে ডুবে গেছে বাঁকুড়ার একাধিক সেতু। পারাপার বন্ধ মীনাপুর ও ভাদুল সেতুতে। এছাড়াও চাষের ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। বাঁকুড়ার সোনামুখী পাত্রসায়ের ব্লকে, দামোদরের তীরবর্তী গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। গ্রামে ঘুরে ঘুরে পঞ্চায়েতগুলির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং।
অবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী বুধবার পর্যন্ত এভাবেই একনাগাড়ে বৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন জেলায়। তাই আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে ডিভিসি। বিভিন্ন ড্যামে জমা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল। যদি টানা আর কিছুদিন বৃষ্টি হয়, তাহলে বাধ্য হয়ে আরও বেশি জল ছাড়তে হবে ডিভিসিকে। এদিকে দামোদরের জল ছাড়ায় রাজ্যের নিম্ন অববাহিকা অঞ্চল, বিশেষত হাওড়া ও হুগলির মতো জেলাগুলিতে যেন তার কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম