Virgin Boy Egg: জল নয়, প্রস্রাবে ডিম সিদ্ধ করে চীনের মানুষরা! নেপথ্যে আশ্চর্য কারণ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Virgin Boy Egg: প্রস্রাবে সিদ্ধ করা হয় ডিম, আর সেই ডিম বসন্তের প্রিয় খাবার। শুনেই হয়ত আপনার গা গুলিয়ে যাচ্ছে। ভাবছেন এমনটা কি আদৌ সম্ভব! চীনের কিছু মানুষের কাছে প্রস্রাবে সিদ্ধ করার পর সেই ডিম অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। এই বিশেষ ডিম কিনতে রীতিমতো লাইন লাগিয়ে দেয় আমজনতা। এই ডিমের আবার একটা গাল ভরা নাম আছে। একে সবাই চেনে ভার্জিন বয় এগ বলে।

ডিম সিদ্ধ কম বেশি সবার প্রিয়। অজস্র পুষ্টি গুণের কারণে প্রতিদিনের খাবারের তালিকা ডিম অনায়াসে জায়গা করে নিয়েছে। চীনে বসন্তকাল এলেই ডিমের চাহিদা তরতরিয়ে বাড়তে থাকে। জোজিয়াং প্রদেশের মানুষ প্রস্রাবে সিদ্ধ করা ডিমকে বলে ভার্জিন বয় এগ, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চীনা সাংস্কৃতি।

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই ডিম খেলে নাকি শরীরের সমস্ত রোগ ব্যাধি দূর হয়। এমনকি জ্বর সর্দি কাশি একদমই কাবু করতে পারে না। পুরো একদিন লাগে এই ডিম সিদ্ধ করতে। প্রথমে প্রস্রাবে ফুটিয়ে নিয়ে তারপর খোসা ছাড়িয়ে আবার প্রস্রাবে ফোটানো হয়। এমনকি যাতে ডিম পুড়ে কিংবা ভেঙে না যায়, তার জন্য নতুন করে আবার প্রস্রাব ঢালা হয়। এই প্রদেশের স্থানীয় মানুষরা এই খাবারটিকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন। তবে এর আদৌ কোন ঔষধি গুণ রয়েছে কিনা তা যথেষ্ট সন্দেহের।

জোজিয়াং প্রদেশে স্থানীয় ভাষায় এই বিশেষ ডিম সিদ্ধকে বলা হয় ‘তংজি ডেন’, আবার অনেকে বলেন ‘বয় এগ’। আর প্রস্রাবে ডিম সিদ্ধর পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ভার্জিন বয় এগ’ । কিন্তু জলের বদলে প্রস্রাবে ডিম সিদ্ধ করার এই অদ্ভুত রীতি কেন? বাস্তবে এ ধরনের রীতি অবাক করার মত। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে এই প্রদেশে ডিমের চাহিদা প্রচুর বেড়ে যায়। এখানকার মানুষদের নাকি প্রস্রাবের ডিম সিদ্ধ অত্যন্ত পছন্দের একটি খাদ্য। এই ডিম কেনার জন্য ডিমওয়ালাদের কাছে রীতিমতো লাইন পড়ে যায় এবং বিক্রি হয় হটকেকের মতো।

বসন্ত ঋতুতে এই প্রদেশের বিভিন্ন স্কুলের ছেলেদের প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। কারণ এই প্রথা অনুযায়ী, অবিবাহিত পুরুষের প্রস্রাবের প্রয়োজন। তাই এই সময় চিনের স্কুল গুলির সামনে রীতিমতো ডিম বিক্রেতাদের ভিড় পড়ে যায়। কেউ বড় গামলা, আবার কেউ বা বালতি নিয়ে স্কুল ছুটির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। শুধুমাত্র স্কুলের বাথরুম থেকে মূত্র সংগ্রহের জন্য। তবে শুধু মাত্র দশ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের প্রস্রাব নেওয়া হয়। কিন্তু এই বয়সের বাঁধাধরা নিয়মের পিছনে কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। চীনে এই নিয়ম প্রায় বহুদিন ধরে প্রচলিত রয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version