ISRO Alert: শুধু যোশীমঠ নয়, ভূমিধসের রিস্ক জোনে ১৪৭টি জেলা! তলিয়ে যাবে মাটির নিচে

।। প্রথম কলকাতা ।।

ISRO Alert: এখনো গোটা ভারতবাসীর মনে তাজা হয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যোশীমঠের (Joshimath) খবর। কিভাবে যোশীমঠ একটু একটু করে ভূমিধসের শিকার হচ্ছে তা সবার জানা। এবার সামনে এল আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর। সাম্প্রতিক সময় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক আর সিরিয়া। ইসরোর তরফ থেকে ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাস (Landslide Atlas) প্রকাশ করা হয়েছে। ভূমিধস প্রবণ এলাকার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ নয়, উপরন্তু ভারতের ১৭ টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও এই রিস্ক জোনে রয়েছে। ISRO দ্বারা পরিচালিত ভূমিধসের ঝুঁকি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের প্রায় ১৪৭ টি জেলা, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের দুটি জেলা।

এই সমীক্ষা করার ক্ষেত্রে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকির কারণ গুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলায় ভূমিধসের ঘনত্ব সবথেকে বেশি। ভারতের ভূমিধসের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শীর্ষ ১০টি জেলার মধ্যে দুটি জেলা রয়েছে সিকিমে। এছাড়াও ২টি জেলা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর এবং ৪টি জেলা কেরালায়। সমীক্ষা চলাকালীন, প্রায় ১৪৭টি অত্যন্ত সংবেদনশীল জেলার উপর গবেষণা করা হয়। ভারতীয মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে সংযুক্ত প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে যে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ এবং তেহরি গাড়োয়াল জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ভূমিধসের ঘনত্ব রয়েছে। পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চল।

 

১৯৮৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১৭ টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় ১৪৭টি জেলায় ৮০ হাজার ৯৩৩ টি ভূমিধসের উপর ভিত্তি করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে যোশীমঠ উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক আসছে ভূমি ধসের ঘটনা। যার সূচনা হয়েছিল যোশীমঠ থেকে। যোশীমঠে ভূমিধস এবং বাড়ির দেয়ালে ফাটল দেখার পাশাপাশি যোশীমঠ-বদ্রিনাথ মহাসড়কেও ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় পাঁচটি স্থানে ফাটল দেখায় নতুন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ এটি সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা। এই পরিসংখ্যান সরকারের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version