নির্বাচনের আগে কোনো চুক্তি নয়! বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে বেসামাল যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

কোন চাপের কাছে মাথা নত করবে না বাংলাদেশ। নির্বাচনের আগে দেশটা পা ফেলছে খুব সাবধানে। চলছে ভীষণ ব্যালেন্স করে। সামান্য ভুলে পাল্টে যাবে সমস্ত ঘুঁটি। বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির পরামর্শে চলে না। নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি কোন বৈদেশিক চুক্তি নয়। জানিয়ে দিল দেশটার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ এমন কথা কেন? অন্য কোন দেশ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? যুক্তরাষ্ট্র নাকি ভারত? কেমন হবে নির্বাচন? জানিয়ে দিলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কোন দেশের সাথে নতুন কোনো চুক্তি করবে না বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে চুক্তির জন্য কোন তড়িঘড়ি নয়। এখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কথাই স্পষ্ট করে বলছেন এমনটা নয়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না তো? এ প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি অত্যন্ত ব্যালেন্সের। এই মুহূর্তে কোন চুক্তি না করলেও দেশটার উপর কোন প্রভাব পড়বে না। আগামী নির্বাচন হবে দেশের শাসনতন্ত্র মেনে। আরো বলেন, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে সম্ভবত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন। বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদান নিয়ে প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। ব্রিকস যদি বাংলাদেশকে সদস্যপদ দিতে চায় তাহলে তা অবশ্যই গ্রহণ করবে। সম্মেলনে থাকবে প্রায় ৭০ টি দেশের প্রতিনিধি । যদি ব্রিকস বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত নাও করে, সেখানে বহু রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। নানান বিষয়ে আলোচনা হবে। সম্প্রতি সিলেটে একটি ইউনিভার্সিটিতে সার্টিফিকেট অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় এসব কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা আর জিসোমিয়া চুক্তি করতে বারংবার আগ্রহ দেখিয়েছে। মূলত আকসা চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি গোলা বারুদ খাদ্য এবং সরঞ্জাম বিনিময় করে থাকে। আর জিসোমিয়া চুক্তির অধীনে বিনিময় হয় সামরিক গোয়েন্দা তথ্য। বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের থেকে কোন অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই অস্ত্র কোথায় থাকবে তা জানাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। তার থেকেও বড় কথা, সেই অস্ত্র ব্যবহার করলেও যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক তা কারোর অজানা নয়। তাই বাংলাদেশও এত জটিল শর্ত মেনে এই মুহূর্তে চুক্তির সঙ্গে জড়াতে চাইছে না।

অপরদিকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। এই সময় যদি কোন চুক্তির প্রয়োজন পড়ে তাহলে কি এই দুই দেশের মধ্যে কোন চুক্তি হবে না? এটাও একটা বড় প্রশ্ন। সম্প্রতি তিস্তা সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাইছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতের সংসদীয় কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশও করেছে। বহুদিনের অমীমাংসিত তিস্তার জল বন্টন সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। যেখানে ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিচ্ছু বলা যাচ্ছে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version