National Press Day: কেন পালন করা হয় জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস? নেপথ্যে জড়িয়ে চমৎকার ইতিহাস


।। প্রথম কলকাতা ।।

National Press Day: সংবাদমাধ্যম আছে বলেই পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে খুব সহজে এবং দ্রুত পৌঁছে যায়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষ জীবিকা, স্বপ্ন আর সত্য তুলে ধরার সাহস। সংবাদমাধ্যম শুধুমাত্র খবর পরিবেশন করে না, স্বাধীনভাবে দায়িত্ব সহকারে সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। সাংবাদিকতার নীতি সুরক্ষিত করা এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিবছর বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে ১৬ই নভেম্বর পালন করা হয় জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস। এই দিন সম্মান জানানো হয় প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে।

১৯৬৬ সালের ৪ঠা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রেস কাউন্সিল। পরবর্তীকালে ১৬ই নভেম্বর থেকে এই সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের কাজ শুরু করে। তাই প্রতিবছর ১৬ই নভেম্বর দিনটিকে স্মরণ করে পালন করা হয় জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস। প্রেস কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয় প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এই সংস্থা সর্বদা স্বাধীন ভাবে কাজ করে, যার প্রথম কাজ হল সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা।

সাধারণত প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সদস্য সংখ্যা ২৯ জন। এই সংস্থার চেয়ারম্যান হন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এনাদের মধ্যে ৫ জন থাকেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্য। ৩ জন থাকেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া থেকে। বাকি ২৮ জনের মধ্যে ২০ জন হন সংবাদমাধ্যমের কর্মী।

এই সংগঠন দেশের সংবাদমাধ্যমের কার্যকলাপের উপর বিশেষভাবে নজর রাখে। খেয়াল রাখে যাতে দেশের স্বাস্থ্যকর একটি গণতন্ত্র বজায় থাকে। এছাড়াও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যাতে বাহ্যিক কোনো কারণ দ্বারা কোনোভাবে প্রভাবিত বা পরিচালিত না হয় সে বিষয়েও নৈতিক নজরদারি রাখে। প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া দেশে স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি চিহ্নিত করে। এছাড়াও ভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের গুণমানও পরীক্ষা করে এবং সাংবাদিকতামূলক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিবছর ১৬ই নভেম্বর এই দিকের উপর আলোকপাত করে পালন করা হয় জাতীয় সংবাদ মাধ্যম দিবস। পাশাপাশি এই দিন সম্মান জানানো হয় প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version