Narendra Modi: নমোর সফরে বড় লাভ যুক্তরাষ্ট্রের! প্রবাসী অঙ্কেই বাজিমাত, ‘মোদীথালি’ নিয়ে গ্র্যান্ড ওয়েলকাম

।। প্রথম কলকাতা ।।

নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের মাস্টারস্ট্রোক কেন জানেন? এত বিশ্বনেতা থাকতে মোদীই কেন? প্রবাসীদের কোন অঙ্ক বাজিমাত করবে? নমোর জন্য প্রস্তুত করা হল মোদীথালি। বাংলাদেশকে চোখে আঙুল দিতে দেখাতেই কি আমেরিকার এত বড় সিদ্ধান্ত নিল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যত বড়সড় প্রস্তুতি। এত জাঁকজমক বর্তমানে কাঁটা হচ্ছে বেশ কিছু দেশের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিগড়ে যাচ্ছে আমেরিকার আর ঢাকাকে দেখাতেই কি নমোর জন্য এত আয়োজন?

কূটনৈতিক মহলের এক অংশ তুলছে এমনই প্রশ্ন৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন মোদীকে ডেকে আসলে অনেক বড় লাভের ফসল ঘরে তুলবে বাইডেন সরকার। ডোনাল্ড  ট্রাম্প থাকাকালীন হাইউি মোদীর মতো এবারও রীতিমত উচ্ছসিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়রা। কূটনৈতিক মহল বলছে প্রবাসীদের এই উচ্ছাসে লুকিয়ে রয়েছে আসল চাবিকাঠি। আপনিই বলুন না বিশ্বে এত তাবড় তাবড় জননেতা থাকতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই কেন বেছে নেওয়া হল? জি-৭ সম্মেলনে জাপানে গিয়ে আসলে ধরা পড়েছিল ‘হাগ ডিপ্লম‌্যাসি’ বা ‘আলিঙ্গন কূটনীতি’র ছবি দেখামাত্রই নমোকে জড়িয়ে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমনকি অটোগ্রাফও চেয়েছিলেন। জিওপলিটিক্সে ঘটা সব ঘটনার নেপথ্যেই থাকে বিশেষ কারণ।

কূটনীতিবিদরা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে যত দেশের অভিবাসীরা থাকেন তাদের মধ্যে ভারতীয়-আমেরিকানদেরই গড়পড়তা আয় সবচেয়ে বেশি এরা মার্কিন এবং ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরাট অংকের চাঁদা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভোটার এবং প্রার্থী হিসেবে ভারতীয়-আমেরিকানরা বড় ভূমিকা পালন করছে। ২০১৯ সালে চালানো এক জরিপে দেখা গিয়েছিল, অন্যান্য এশিয়ান-আমেরিকানদের তুলনায় ভারতীয় সম্প্রদায়ই ব্যক্তিগতভাবে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের শাসক দল সবসময়ই চায় তাদেরকে ধরে রাখতে৷ জলন্ত উদাহরণ দেখুন সম্প্রতি রাহুল গান্ধীও গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁকে দেখার জন্য অতটা উন্মাদনা তৈরি হয়নি প্রবাসীদের মধ্যে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে মারাত্মক জনপ্রিয়। তাই তো এখন থেকে মোদীর কি কি খাবেন না খাবেন তার জন্য মোদীথালিও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে।

অনেক ভেবেচিন্তে মেনু ঠিক করেছেন শেফ কুলকার্নি। এক থালিতে এক টুকরো ভারতকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। খিচুরি, কাশ্মীরি দম আলু, ধোকলা, সরসোঁ কা সাগ, ইডলি, রসগোল্লা, দইয়ের ঘোল
কি নেই সেই থালিতে। আর এর থেকে বোঝা যাচ্ছে এবার প্রবাসী ভারতীয়রা ঠিক কতটা আপ্লুত মোদীর এই সফর ঘিরে। এমনকি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্নেগী এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের গবেষক মিলান বৈঞ্চব বলছেন প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে মোদীর আবেদন রীতিমত একজন রক-তারকার মতো। কিন্তু এতে ভারত বা ভারতীয় রাজনৈতিকদের লাভ কি? প্রবাসীরা তো ভারতে ভোটও দেয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বড় লাভ আছে। ভারতীয়-আমেরিকানরা তাদের ফেলে আসা মাতৃভূমির সঙ্গে একটা গভীর পারিবারিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। গত বছর এই প্রবাসী ভারতীয়রা ১০৮ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ভারতে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় তরুণরা দেশের সঙ্গে একটা সম্পর্কও রাখতে চায়। সব মিলিয়ে লাভটা দুপক্ষেরই৷ এবার আমেরিকা সফরে গিয়ে কোন কোন ম্যাজিক দেখায় নমোর জনপ্রিয়তা সেটাই দেখার৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version