সমুদ্রের তলায় রহস্যজনক জাহাজ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে সোনার মুদ্রা! রূপকথা নয়, সত্যি

।। প্রথম কলকাতা ।।

সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে খাজানা। পড়ে রয়েছে কোটি টাকার সোনা দানা। না, এটা কোনো রূপকথার গল্প নয়। সমুদ্রের অতলে রয়েছে জাহাজ ভর্তি প্রচুর ধনসম্পদ। ভাবতে অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। একদল বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে কাজ করছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই জল্পনায় রয়েছে কলম্বিয়ার ক্যারাবিয়ান উপকূল। গোটা বিশ্বের পাখির চোখ এখন এই দিকে। ঘনাচ্ছে রহস্যের জাল।

সম্প্রতি দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে একটা খবর। যা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কলম্বিয়ার ক্যারাবিয়ান উপকূলের কাছেই নাকি সন্ধান মিলেছে এক ডুবে যাওয়া জাহাজের। সেই জাহাজেই আছে যকের ধন। ২০১৫ সালের নাগাদ আবিষ্কৃত হয় জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ। ডুবে যাওয়া স্প্যানিশ জাহাজটাকে কিভাবে সমুদ্রের তলদেশ থেকে তুলে আনা যায়, এখন চলছে তারই তোড়জোড়। শোনা যাচ্ছে, বহুদিন আগেই নাকি একটি স্প্যানিশ জাহাজ ‘সান হোসে’ ডুবে গিয়েছিল। তারপর থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জাহাজটির মধ্যে রয়েছে অমূল্য প্রচুর ধনসম্পদ। বিষয়টি নিয়ে তৎপর কলম্বিয়া সরকার। জাহাজটি উদ্ধারের নির্দেশও দিয়েছে।

দেখুন, পৃথিবীতে জাহাজ ডোবার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। একটু খোঁজ নিলে শুনতে পাবেন শত শত জাহাজ ডোবার ঘটনা। আসলে সান হোসে যেখানে ডুবেছে সেখানে মিলেছে কিছু কৌতুহলী ধ্বংসাবশেষ। অনুমান করা হচ্ছে, ওখানে লুকিয়ে রয়েছে প্রায় কুড়ি বিলিয়ন মূল্যের সোনা রুপা সহ ২০০ টন সম্পদ। জাহাজটি ডুবে ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক ভাবে। সময়টা তখন ১৭০৮ খ্রিস্টাব্দ। শোনা যায়, মূল্যবান সামগ্রীতে ঠাসা জাহাজটি ডুবিয়ে দেয় ব্রিটিশরা। শত শত বছর ধরে একরাশ রহস্য নিয়ে পড়েছিল সমুদ্রের প্রায় তিন হাজার একশ ফুট গভীরে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সাল নাগাদ তার ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। টুইস্টটা হল অন্য জায়গায়। ধ্বংসাবশেষের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র চিনামাটির পত্রের পাশাপাশি প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা। প্রায় ২০০ বছর ধরে জাহাজটি ডুবে থাকলেও মানুষের হাত পড়েনি।

অপরদিকে শুরু হয়েছে অন্য বিতর্ক। এত বিলিয়ন সম্পদ যখন উদ্ধার করা হবে তার মালিকানা যাবে কোন দিকে? জাহাজটা স্পেনের, অপরদিকে রয়েছে কলম্বিয়ার উপকূলে। কলম্বিয়ার পাশাপাশি বলিভিয়ার এক উপজাতি গোষ্ঠী এই সম্পদের দাবি করেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version