Spy Pigeon in Odisha: ওড়িশায় উদ্ধার রহস্যজনক পায়রা, পায়ে বাঁধা ক্যামেরা চিপ! কারা পাঠাল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Spy Pigeon in Odisha: পায়ে বাঁধা রয়েছে ছোট্ট একটি ক্যামেরা (Camera) আর চিপ। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় উপকূলে। এটি একটি পায়রা, যাকে কেন্দ্র করে উড়িশা (Odisha) সমুদ্রে উপকূলে একের পর এক রহস্যের জট বাঁধছে। গুপ্তচর পায়রা (Spy Pigeon) বলতেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে শান্তির দূত সম্পর্কিত নানান ধারণা। কিন্তু পায়রা যে গুপ্তচর বৃত্তির কাজ করতে পারে তার প্রমাণ বহুবার ইতিহাসে পাওয়া গিয়েছে। সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই পায়রাকে গুপ্তচরবৃত্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজে লাগানো হত।

উড়িশার জগতসিংহপুরের পারাদ্বীপ উপকূলে মাছ ধরার নৌকায় একটি পায়রাকে দেখতে পাওয়া যায়। যার পায়ে ছোট্ট ক্যামেরা এবং একটি চিপ লাগানো রয়েছে। এমনকি ডানায় লেখা রয়েছে অজানা ভাষায় কিছু সাংকেতিক লেখা। একদল মৎসজীবী মাছ ধরতে গিয়ে ওই পায়রাটিকে দেখতে পায়। পরে সেটি পারাদ্বীপ মেরিন থানায় হস্তান্তর করে। পাখিটিকে পাওয়া যায় কোনার উপকূল থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে, যেখানে নৌকাটি নোঙর করে রাখা হয়েছিল।

পুলিশের সন্দেহ অনুযায়ী, পাখিটিকে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পশু চিকিৎসকরা পাখিটিকে পরীক্ষা করবেন। পাখিটির পায়ে থাকার সংযুক্ত ডিভাইস গুলি পরীক্ষা করার জন্য রাজ্য ফরেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটরির সাহায্য নেওয়া হবে। দেখে মনে হচ্ছে, ওই ডিভাইসগুলি একটি ক্যামেরা এবং একটি মাইক্রোচিপ। এমনটাই মনে করেছেন জগতসিংহপুরের পুলিশ সুপার। স্থানীয় পুলিশরা দেখতে পায়, পাখির ডানায় অজানা ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। কি লেখা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। যে ব্যক্তি প্রথম পাখিটিকে দেখতে পান তিনি খেয়াল করেন পাখির পায়ে কিছু যন্ত্র লাগানো রয়েছে। তিনি আরো দেখতে পান যে পাখিদের ডানায় কিছু লেখা রয়েছে। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটি সাধারণ পাখি নয়। গত কয়েকদিন ধরে তিনি পাখিটিকে ভাতের টুকরো খাইয়েছেন।

যদি সত্যি একটি গুপ্তচর পায়রা হয়ে থাকে তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। বছর দুই আগেও কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল পাক গুপ্তচর পায়রা। যার পায়ে বাঁধা ছিল রহস্যময় রিং। ভারতে চরবৃত্তি করার জন্য পাকিস্তানের তরফ থেকে পায়রা বাহিনী নামানো হয়। পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা সেই পায়রাটি ধরা পড়েছিল জম্মু কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমানা সংলগ্ন মান্যারি গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে। পায়রার পায়ে থাকা রিংয়ের উপর কিছু সংখ্যা খোদাই করা ছিল। পায়রার পায়ে এইভাবে জরুরি বা গোপন বার্তা বেঁধে তথ্য আদান-প্রদানের রীতি একেবারেই নতুন নয়। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধের সময়ও সংবাদবাহক হিসেবে পায়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version