Ramadan: মহাকাশে মুসলিম নভোচারীর রোজা পালন, কীভাবে সম্ভব? জানলে আশ্চর্য হবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ramadan: শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান (Ramadan) মাস। একমাস টানা রোজা রাখার পর মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষরা আনন্দ সহকারে ঈদ পালন করবেন। রোজা পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, সাধারণত ভোরে সেহেরির পর সারাদিন উপবাস রাখতে হয়। তারপর সন্ধ্যায় ইফতারের পর খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে যারা মহাকাশে থাকেন তাদের তারা রোজা পালন করবেন কীভাবে? এই নিয়ে বহু মানুষের মনে নানান কৌতূহল থাকাটাই স্বাভাবিক। মার্চের ৩ তারিখ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী সুলতান আননিয়াদি। তিনি পুরো ছয় মাস মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। মহাকাশে থাকাকালীনই পড়েছে রমজান মাস। পবিত্র রমজান মাসে তিনি কিভাবে রোজা পালন করবেন এই নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন রয়েছে? জানলে আশ্চর্য হবেন, মহাকাশে থেকেও রোজা পালন করা যায়।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ‘সময় টিভি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুলতান যে মহাকাশ যানে করে গিয়েছেন সেটি প্রায় ঘন্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। তাই প্রতি ২৪ ঘন্টায় তিনি দেখবেন ১৬টি সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত। রোজা পালনের ক্ষেত্রে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সূর্যোদয়ের আগে সেহেরি খেতে হয়, আর সূর্যাস্তের পর খেতে হয় ইফতার। যদিও সুলতান আলনিয়াদি জানিয়েছিলেন, তিনি এখন ভ্রাম্যমান অবস্থায় রয়েছেন। সেক্ষেত্রে রোজা পালন করা আবশ্যক নয়। তার কথায়, “আমরা আসলে রোজা ভাঙতে পারি। এটা অপরিহার্য নয়। আপনি যদি ভাল বোধ না করেন তবে আপনার জন্য রোজা ফরজ নয়। যেহেতু মহাকাশের যে কোন কিছু মিশনকে ধ্বংস করতে পারে বা ক্রুদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে তাই ডিহাইড্রেশন এবং অপুষ্টি এড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত খাবারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে”।

তিনি চাইলে গ্রিনিচ টাইম অনুযায়ী রোজা রাখতে পারেন, যা অফিসিয়াল স্পেস টাইম হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, যদি রোজা রাখার সুযোগ পান তাহলে অবশ্যই তা পালন করবেন। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তিনি অপেক্ষা করে দেখবেন রোজা রাখা যায় কিনা। এর আগে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ার এক ধার্মিক মহাকাশচারী মহাকাশে গিয়েছিলেন। তার মহাকাশে থাকা অবস্থায় রমজান মাস পড়ে। তখন মালয়েশিয়ার ফতোয়া কাউন্সিল ফতোয়া দিয়েছিল, ওই মহাকাশচারী চাইলে মহাকাশে রোজা নাও রাখতে পারেন। যদি তিনি চান তাহলে যেখান থেকে মহাকাশ যাত্রা শুরু করেছিলেন সেই স্থানের সময় অনুযায়ী রোজা পালন করতে পারবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version