Ambani Family Z+ Security: মুকেশ আম্বানিকে Z+ নিরাপত্তা, এর সুবিধা কী? কত টাকা খরচ হয়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ambani Family Z+ Security: মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তাঁর পরিবারকে Z+ নিরাপত্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফোনে বোমা ছুঁড়ে অ্যান্টিলিয়া উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে এখন উদ্বিগ্নে রয়েছে আম্বানি পরিবার। বর্তমানে গোটা বিশ্বের অষ্টম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। হুমকি ফোনের পরিপ্রেক্ষিতে মুকেশ আম্বানি এবং রপ্তানির পুরো পরিবারকে Z+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশ সহ দেশের বাইরেও তাঁদের ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হবে। যদিও এই সুরক্ষার সকল খরচ বহন করবে আম্বানি পরিবার।

দেশে বিদেশে সব জায়গাতেই এই নিরাপত্তা বলয় পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আনুমানিক মাসে খরচ হতে পারে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। ভারতে থাকাকালীন মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে মহারাষ্ট্র সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ক্রমাগত যেভাবে আম্বানি পরিবারের দিকে হুমকি আসছিল সেক্ষেত্রে এই সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে মনে করেছেন আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে থাকা মুকুল রোহতগি। তিনি শীর্ষ আদালতে জেড প্লাস নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এই নিরাপত্তা বলয়ে ১০জনের বেশি এনএসজি কমান্ডো ও পুলিশ কর্মীসহ থাকবেন ৫৫ জন কর্মী।

ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। তার মধ্যে ছয়টি সর্বোচ্চ স্তর হল SPZ, Z+, Z, Y+ এবং X । এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর বলে মনে করা হয় Z+ কে। নিরাপত্তার গুরুত্ব অনুসারে সেই সংখ্যক অফিসার মোতায়ন করা হয়। জেড প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকেন প্রায় ৫৫ জনের মত নিরাপত্তারক্ষী। যাদের মধ্যে দশজন হয় দক্ষ এনএসজি কমান্ডো। জেড ক্যাটাগরিতে থাকেন ১৬ থেকে ২০ জন অফিসার। জেড প্লাস সিকিউরিটিকে বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা। এটি পেয়ে থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। যখন তাঁরা কোন জায়গায় সফরে যান তখন এই সিকিউরিটি পেয়ে থাকেন। এমনকি বিদেশ ভ্রমণে গেলেও তাঁদের সঙ্গে থাকেন দক্ষ কমান্ডো। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এসপিজি তথা স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ নিরাপত্তা। ২০১৯ সালে এই নিরাপত্তার পরিবর্তে তাঁদেরকে দেওয়া হয় জেড প্লাস নিরাপত্তা।

এসপিজি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এই রয়েছে টাটা সাফারি, মার্সিডিজ, রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লু প্রভৃতি। এছাড়াও আকাশ পথের জন্য রয়েছে ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান ও এমআই ১৭ হেলিকপ্টার। জেড প্লাস নিরাপত্তার বলয়ে প্রায় ৫৫ জন নিরাপত্তা রক্ষীর পাশাপাশি রয়েছে বুলেট প্রুফ গাড়িসহ নানান সুবিধা রয়েছে। ওয়াই ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা রক্ষী থাকেন প্রায় ১১ জন। এক্স ক্যাটাগরিতে থাকেন ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী। মূলত যাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য ঠিক ততটাই নিবিড় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version