Ram Mandir: ভারতের মাটিতে হলুদ সম্পদের পাহাড়, সুপার অ্যাকশন অযোধ্যায়, প্রোটকল ভেঙে কোন মন্ত্রে হাঁটবেন মোদী ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ram Mandir: ভারতের মাটিতে হলুদ সম্পদের পাহাড়, উত্তরপ্রদেশে গ্র্যাণ্ড আয়োজন। অক্ষত’য় জড়িয়ে ইতিহাস তৈরী করবে অযোধ্যা। বাংলায় পৌঁছবে অমূল্য রত্ন। তারিখ-তিথি সেট, জানেন? কার ছায়ায় ঢাকছে গোটা দেশ? রাম মন্ত্রে শুরু সুপার অ্যাকশনের তোরজোড়। ২৪ এর গোড়াতেই অন্য যুগের দুয়ার খুলবেন মোদী। প্রোটোকল ভেঙে এই কাজ করবেন প্রধানমন্ত্রী? সাক্ষী থাকবে গোটা পৃথিবী। দেশী ঘি আর চালেই লুকিয়ে ভারতকে সমৃদ্ধ করার আসল রহস্য। এতো এতো কলসী, ভরে গেছে অযোধ্যা। চোখের সামনে বদলে যাবে একটা গোটা যুগ। রাম মন্ত্রে চলবে গোটা দেশ। লোকসভা ভোটের আগেই ভারতের মাটিতে বিরাজ করবেন রামচন্দ্র। আর মাত্র দুটো মাস, তারপরেই খুলবে দুয়ার। তার আগেই “অক্ষত” বদলে দিল অযোধ্যাকে। অযোধ্যার আমন্ত্রণ পৌঁছলো-পৌঁছচ্ছে ভারতের ঘরে ঘরে।

‘অক্ষত পুজো’-য় ১০০ কুইন্টাল চালের সঙ্গে ১ কুইন্টাল হলুদ বাটা, ১ কুইন্টাল দেশি ঘি মেশানো হয়েছে। তিনে মিশে তৈরি হয়েছে অক্ষত চাল। রামলালাল সামনে পেতলের কলসি ভরে রাখা সেই মাখা ‘অক্ষত’ চাল রেখে হয়েছে পুজো। শেষে উত্তরপ্রদেশের রীতি মেনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সেই অমূল্য হলুদ সম্পদ ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা।তালিকায় রয়েছে বাংলাও। অক্ষত চাল পৌঁছবে আমন্ত্রণের চিঠির সঙ্গে। বাংলার রামভক্তদের জন্য মন্দিরের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ আসছে, তাও কিনা সুদূর অযোধ্যা থেকে।একেবারে রাজকীয় আয়োজন। ভগবান রামচন্দ্র আসতে চলেছেন! রামমন্দিরে রামলালার অধিষ্ঠান ঘটবে। তার আগেই বিলি করা হবে হলুদ চাল। দু’টি কলসে ১০ কেজি অক্ষত চাল ঢোকার পর সেটা সংরক্ষিত থাকবে। ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে আমন্ত্রণ। তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সেই সময়ে যখন অযোধ্যার আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়া হবে, তখনই প্রতিটি জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক পরিবারকেই কয়েক দানা করে অক্ষত চাল দেওয়া হবে। বাংলার ৩০ হাজার গ্রামে অযোধ্যার নিমন্ত্রণপত্র ও অক্ষত চাল পৌঁছনোর লক্ষ্য পরিষদের। ২০২৪ এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে রামমন্দির যে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে সেটা বলে দিচ্ছে এই আয়োজন। নির্বাচনের আগে অযোধ্যার এই অনুষ্ঠানকে গোটা দেশের করে তোলার জন্য অলরেডি মাঠে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। অযোধ্যা তাই সাজতে শুরু করেছে সেই শুভদিনের প্রস্তুতিতে। অস্থায়ী মন্দির থেকে নতুন মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা পা রাখবেন সেদিন। শিশু রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু এতে একটা রিস্ক আছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রামলালা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে রাজি হলে আধ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে মোদীকে। কারণ অযোধ্যার মূল মন্দির যেখানে তৈরি হচ্ছে, সেখানে থেকে আধ কিলোমিটার দূরে অস্থায়ী মন্দিরটি।এদিকে শিশু রামের মূর্তি হাতে থাকলে জুতো পরতে পারবেন না মোদী। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রোটোকল ভেঙেই ওই রাস্তা খালি পায়ে হেঁটে আসতে হবে তাঁকে। সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে ভাবনা চিন্তা।

২২ জানুয়ারি ওই মূর্তি গর্ভগৃহে স্থাপন করে, তাঁর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। পুজোয় বসবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন রামলালাকে স্নান করানো হবে, হবে চক্ষুদান। আগামী রামনবমী পালিত হবে অযোধ্যার নতুন রামমন্দিরে ।দ্বারকার এক রাবণ-দহন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘‘রামমন্দির প্রতিষ্ঠা আমাদের জয়’’।আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু হবে এক নতুন যুগ। রামের আদর্শে দেশ গড়ারও ডাক দিয়েছেন মোদী। অলরেডি, মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে মোদীকে আগামী ২২ জানুয়ারির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন। এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে গোটা ভারত। ২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এবার বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। সবটাই ঘটছে মোদীর হাত ধরে। যা ঘটবে ২২ তারিখ, তা সকলের দেখার বন্দোবস্ত থাকবে। গোটা দেশেই এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে। শুরু থেকেই রামমন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পুজোর অনুষ্ঠান দেখতে পাবে ১৪০ কোটির ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version