।। প্রথম কলকাতা ।।
PM Narendra Modi: সবার গ্যারান্টি শেষ মোদীর গ্যারান্টি শুরু। গো হারা হেরে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা থেমে গেল? দেশকে কীভাবে জুড়তে হয় শেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি যা করছে তা বড় ফল দেবে। ডিসেম্বর মাসেই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করার কথা ছিল না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর? তিন রাজ্য হেরে গিয়ে সেই প্ল্যান কী চৌপাট? মোদী কেন হঠাত করে বললেন এটা তার পরীক্ষা দেওয়ার সময়? কোন পরীক্ষার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী? তুল্যমূল্য বিচার করা যায় যদি কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা ও বিজেপির ভারত সংকল্প যাত্রাকে পাশাপাশি রাখা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি এই ভারত সংকল্প যাত্রাই বিজেপিকে বড় লেভেলের মাইলেজ দিতে পারে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে।
কংগ্রেসের ভারত জোড়োর মতোই কী ভারতীয় জনতা পার্টির এই কর্মসূচী? না একেবারেই যে তা নয় যেখানে দেশের বেশিরভাগ ভোটার জানতেই পারলেন না কেন হঠাৎ করে রাহুল গান্ধী পদযাত্রা শুরু করলেন এর উদ্দেশ্য কী আর এটা কীভাবে ভোটারদেরকে কংগ্রেসমুখী করবে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন সেখানে বিজেপির এই কর্মসূচী যে যে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত হয়েছে তাদের কাছে এটা বেশ স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নিজে দুদিনের সফরে বারাণসী গেলেন আর সেখান থেকে বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে ভোটের আগে প্রস্তুতি নিতে হয়। বসে বসে কথা বলে জেনে নিলেন কেন্দ্রীয় সরকার যে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো কি আদৌ এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে হয়েছে?
ভারত সংকল্প যাত্রা
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিজেপির ভারত সংকল্প যাত্রার উদ্দেশ্যই ছিল কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক কর্মসূচির সূচনা করেছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্রান্তিক মানুষের কাছে এই সব কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছয় না। এর জেরে সরকারি সাহায্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় বহু মানুষকে। তাই দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে থাকা মানুষকে সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে জানানো ও তাদের সেই সুবিধা দেওয়াই ছিল ভারত সংকল্প যাত্রার মূল টার্গেট।
ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও মিজোরামে বিধানসভা ভোটের জন্য নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা স্থগিত ছিল। যা ১৬ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চালু করে দেন নমো নিজে। সেখানেই মোদী বলেন যেখানে সবার গ্যারান্টি শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু হয় মোদীর গ্যারান্টি। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শেষের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন এবার নেক্সট টার্গেট কী? কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা যায় ভোটের খাতায় কী লাভ তুলতে পারল এই প্রচেষ্টা? অনেকের দাবি ৫ রাজ্যে নির্বাচনের আগে এমন কোনও কর্মসূচী যদি কংগ্রেস করত তাতে তাদের পক্ষে জানার সুবিধা হত তাদের সরকার থাকা গুরুত্বপূর্ণ হিন্দি বলায়ের দুটি রাজ্যে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে সত্যিই মানুষ কতটা সন্তুষ্ঠ ছিল কংগ্রেস সরকারের কাজে। নাকি জেনে বুঝেই তেমন কোনও রিস্ক নিতে চাননি রাহুল গান্ধীরা? অবশ্য ফলাফল ও পরিণতি তো একেবারে সামনেই।
বিজেপি কীভাবে এই একটা সংকল্প যাত্রা ছক্কা মারবেন জানেন?
বারাণসীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এটা আমারও পরীক্ষা আমি যেখানে যা বলেছিলাম যা আমি করেছি আমি সেটা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই এটা ঠিকঠাক হয়েছে কি না সেটা জানতে চাই, যে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল সেটা করা হয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। ভাবুন একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব আসনে গিয়ে একেবারে বসে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের সমস্যা তাদের অভিযোগ শুনছেন। বারাণসীর প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন মোদী। রীতিমত ঠান্ডা মাথায় শোনেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা। আর ঠিক এটাই তো চান জনসাধারণ জনগণ। যে তারা যাকে ভোট দিয়েছেন তিনি তাদের এভাবেই খেয়াল রাখুক।
মোদী বলেন, “বিভিন্ন সরকার আসে আর যায় লম্বা চওড়া প্রতিশ্রুতি দেয়। গরিবি হঠাও বলে স্লোগান দেওয়া হয় গরিবি হঠাও স্লোগানটা এক জিনিস কিন্তু একজন গরিব মানুষ বর্তমানে তাঁর বাড়িতে গ্য়াস সিলিন্ডার রাখতে পারেন সেটা গরিব আর ধনীর মধ্যে ফারাকটা দূর করে দিয়েছে।” ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন শেষ হয়ে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টির এই সংকল্প যাত্রা তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি এখনই এর এফেক্ট না বোঝা গেলেও এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে বড় লেভেলের লাভের ফসল ঘরে তুলতে পারবে বিজেপি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম