ইউক্রেনে পড়ল মোদীর কূটনীতির প্যাঁচে? ঘি ঢালছেন পুতিন, পরিণতি কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইউক্রেনকে নিয়ে বড় স্টেপ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। মস্কো ভারতের প্রশংসা করছে ঠিকই কিন্তু দিল্লির কারণটা অন্য। ইউক্রেনের সঙ্গে কি তাহলে ভারতের দুরত্ব বাড়ছে? ঠিক কোন বিশেষ কারণে কিয়েভকে আমন্ত্রণ জানানো হল না জি২০তে। অনেকেই শুনে আনন্দ পাবেন জেলেনস্কি ডাকা হয়নি জি২০ সম্মেলনে। সেপ্টেম্বরের ৯-১০ মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীকালে কোন অন্য পথে বাঁক নেবে না তো? এটা ভুললে চলবে না রাশিয়া যেমন ভারতের মিত্র ইউক্রেনও কিন্তু দিল্লির জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এরই মাঝে পুতিনে খেলে দিলেন বড় খেলা।

ঠিক যে মূহুর্তে এটা নিশ্চিত হল ভারত জি ২০র প্রতিনিধিত্ব করা দেশ এবারের সম্মেলনে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ করছে না। ওদিক থেকে হঠাৎই রাশিয়া ভারতের প্রশংসায় কার্যত পঞ্চমুখ হল। মস্কো বলছে কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে ভারত যেভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে তা প্রশংসনীয়। তাহলে কি বলা যেতে পারে আগুনে ঘি ঢালার কাজটা রাশিয়া করে দিল?কূটনৈতিক মহলের দাবি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবারের জি২০ তে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। কারণ হিসেবে উঠে আসছে একাধিক ব্যাখ্যা। এর আগে জি২০-র বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যৌথ বিবৃতিতে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি কোনও ক্ষেত্রেই তার কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া খুবই গভীর হয়ে যৌথ ঐক্যের পথ ঢেকে দিচ্ছে বারবার। এছাড়াও বড় কারণ জি২০তে রাশিয়া এবং আমেরিকা এই দুই যুযুধান পক্ষ থাকছে এবার। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ করলে পরিস্থিতি অন্যদিকেও যেতে পারে।

প্রশ্ন উঠতে পারে ভারত আসলে কার পক্ষে ভারতের নিরপেক্ষতা নিয়েও উঠতে পারে বড় প্রশ্ন। সোজা কথায় কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি নিজে এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত হলে এবং সশরীরে উপস্থিত থাকলে মতবিরোধ এবং কূটনৈতিক বিভাজন আরও প্রকাশ্যে চলে আসবে ভারত এক্ষেত্রে কূটনৈতিক দিক থেকে সাবধানী অবস্থান নিলেও প্রশ্ন উঠছে এর প্রভাব ভারত-ইউক্রেন সম্পর্কে কোনও বড়ভাবে পড়বে না তো? সেজন্য অবশ্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version