PM Narendra Modi: ৯ বছরে ৯ জ্যাকপট মোদীর! কেন খড় কুটোর মত উড়বে কংগ্রেস ? বাম্পার প্রজেক্টেই আস্থা

।। প্রথম কলকাতা ।।

PM Narendra Modi: ৯ বছরে ৯ উপহার মোদীর, ২০২৪ ঘোরাবে খেলা!বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ৯য়ের নৌকাই টানবে নিম্নবিত্তের ভোট। মোদীর জনমোহিনী প্রকল্পে ক্লিন বোল্ড কংগ্রেস?আপনার জানা আছে কি বিজেপি সরকারের ৯ জ্যাকপট প্রকল্প? ভোটের আগেই হবে বাজেট আর সেখানেই থাকবে বড়সড় ধামাকা। মোদীর জনমোহিনী প্রকল্পে কল্পতরু হওয়ার বড় চানস বিজেপি সরকারের। যতই হোক ভোট বড় বালাই কিন্তু নমোর রাজত্বের এই ৯ বছরে দেশের মানুষ কী কী পেল? সোজাসুজি জেনে নিন মোদীর ৯ বাম্পার প্রকল্পের কথা। কারণ ভোটের প্রচারে এটাই হবে মোদীর বড় শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনা:

মোদী সরকার ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনা প্রকল্পটি চালু করেছিল।
এই প্রকল্পের অধীনে, দেশের ১১ কোটিরও বেশি কৃষক
প্রতি বছর ৬ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা পান। এটি তাদের কৃষি সম্পর্কিত মৌলিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা:

কোভিডের সময়, সরকার দেশের ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্প শুরু করেছিল।
এই স্কিমের কারণে কোভিডের মতো ভয়াবহ সময়েও মানুষকে অনাহারের শিকার হতে হয়নি। সরকারের এই নীতির কারণে ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পান।

জিএসটি:

কম নিন্দা সমালোচনা বা বিরোধ হয়নি জিএসটি চালুর সময়। পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) মোদী সরকারের আমলে দেশের কর ব্যবস্থাকে চিরতরে পরিবর্তন করার একটি পদক্ষেপ ছিল। এই কর ব্যবস্থা দেশের অভ্যন্তরে আরোপিত। সকল পরোক্ষ করকে একত্র করেছে। এর কারণে কোটি কোটি মানুষের জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ব্যবসা করা সহজ হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা:

মোদী সরকারের প্রথম দিকের প্রকল্প। এই স্কিম ২৮ আগস্ট ২০১৪ সালে চালু করা হয়। দেশের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং সুবিধার নাগাল প্রসারিত করে এই স্কিম। ন্যূনতম সম্মতি সহ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এসব অ্যাকাউন্টের কারণে সরকারি ভর্তুকি সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে। আজ ৪৩ কোটিরও বেশি মানুষ এর সুবিধা নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা:

দেশের ছোট উদ্যোগগুলির মূলধনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে যুবকদের মধ্যে উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করতে
এবং সস্তা ঋণের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা চালু করেছে। দেশে এখন পর্যন্ত ৪০.৮২ কোটি মুদ্রা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেও সবচেয়ে বড় কথা মুদ্রা ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী।
যেখানে ৫১ শতাংশ মানুষ SC, ST বা OBC ক্যাটাগরির।

পিএম স্বনিধি যোজনা:

কোভিডের দিনে দৈনিক মজুরি কর্মীরা বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন। এদিকে মোদী সরকার ‘রাস্তার বিক্রেতাদের’
জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পিএম স্বানিধি’। এর আওতায় যারা রাস্তার বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন তাদের সরকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা:

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন বীমার সুরক্ষা কভার ছিল না। মোদি সরকার এই সমস্যাকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’ চালু করে। এর অধীনে লোকেরা ৩৩০ টাকার বার্ষিক প্রিমিয়ামে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বিমা কভার পান। একইভাবে সরকার দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’ও চালু করেছে যা প্রতি বছর ১২ টাকার প্রিমিয়ামে ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা কভার প্রদান করে।

অটল পেনশন যোজনা:

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর নামে শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক প্রকল্পটি ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী দেশের সমস্ত নাগরিকরা পেতে পারেন এই প্রকল্পের অধীনে, সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পূর্ণ করার পরে। ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত একটি নিশ্চিত পেনশন পান।

উজ্জ্বলা যোজনা:

এটি মোদী সরকারের নীতি যা দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার একটি বড় সমস্যা সমাধান করেছে। দেশের ৮ কোটিরও বেশি দরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন।

৩ রাজ্যে ভোটের আগে যেমন তুলে ধরা হয়েছিল এই তালিকা। ২০২৪এর প্রচারেও মাইলেজ দেবে মোদী সরকারে এই ৯ পাওয়ার প্রজেক্ট। এই প্রকল্প গুলোর বেশ কয়েকটি বিভিন্ন রাজ্যে অবিজেপি সরকারও নিজেদের প্রকল্প বলেও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বেশ কিছু কিছু প্রকল্পের নাম বদল করে চালানোর অভিযোগ বারবার করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল সরকার বলছে, এটা রাজ্যের অধিকার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version