২০২৪এ মোদী-নাড্ডার গুপ্ত প্ল্যান! সাবধান হন বিজেপির নেতারা, রিপোর্ট ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

মোদী-নাড্ডার সিক্রেট প্ল্যান! বিজেপির কর্মকর্তারা সাবধান। কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাছা হয় বিজেপিতে? গোপন স্ট্র্যাটেজি ফাঁস করলেন জেপি নাড্ডা প্রত্যেক বিজেপি কার্যকর্তার ওপর কড়া নজর, কে রাখছেন? হইহই করে দল করছি, রাজনীতিতে নেমে যা ইচ্ছা তাই করছি যা ইচ্ছা তাই বলছি এসব এখন একেবারেই চলবে না বিজেপিতে। যে কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন জে পি নাড্ডা তারপর ধরে নেওয়া যায় রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি নেতারা এখন থেকে অনেক বেশি সতর্ক থাকবেন। ২০২৪র আগে হতে পারে নাকি কোনও ছাঁটাই অভিযান। কীভাবে ছেঁকে ছেঁকে নেতাদের তুলে ধরে বিজেপির হাইকমান্ড কীভাবে সেখান থেকে ফিল্টার করে বাছা হল ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ? মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে যে বিশাল জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী হতে হবে তেমনটা একেবারেই নয়। তিন রাজ্যে নতুন মুখকে একে প্রমাণ করে দিয়েছেন মোদী-শাহ-নাড্ডা কিন্তু যারা পুরোনো ও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন যেমন শিবরাজ সিং চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, রমন সিং এদের ভবিষ্যত এবার কী? এদের কোন কাজে ব্যবহার করবে দল?

আর এখান থেকেই জানা গেল কীভাবে দলের কর্মকর্তাদের কাজ, অ্যাডিটিউট, কোন পরিস্থিতি কে কীভাবে রেসপন্স করছে সমস্তটা প্রতিনিয়ত স্ক্যান করতে থাকেন প্রতিনিয়ত বিজেপির হাইকমান্ডরা। কোন রাজ্যে কোন কর্মকর্তা কী ব্লান্ডার করছেন সব নখদর্পনে। ছোট্ট উদাহরণ রাজ্যের বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা একের পর এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় অনুপমের কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলয় প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার শুনুন কী বলছেন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের একটি সাক্ষাতকারে নাড্ডা বলেন বিজেপির প্রত্যেক কার্যকর্তাকেই ওয়াচ করা হয় তার অ্যাকিভিটি তার ইতিহাস তার প্রতিক্রিয়া আর সেটা দিয়েই ডাটা ব্যাঙ্ক তৈরি হয় যা বিজেপির হাইকমান্ডের হাতে থাকে সময় বুঝে যা স্টাডি করা হয়।

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাছাই নিয়ে নাড্ডা বলেন লক্ষ লক্ষ সক্রিয় কার্যকর্তা রয়েছে বিজেপিতে। তারাও এবার মানবেন যে তাদের মধ্যে থেকেও এত বড় পেতে পারেন কেউ নিজের কাজের দক্ষতার জেরে। এটা ভারতীয় জনতা পার্টি এখানে বায়োডাটা এনে কাজ চলে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন আমি দশটা ফোন করলেই জানতে পারব বিজেপির ওই নেতা কেমন রাগী, ভালোবেসে আচরণ করেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন নাকী বিরক্ত হন। এর মানে বিজেপিতে সব নেতা কর্মীর শুরু থেকে সর্বশেষ অবদান বিচার-বিশ্লেষণ করে তবে গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য নাম বিবেচনা করা হয় নাড্ডার দাবি মুখ্যমন্ত্রী পদে যে তিনজনকে বাছা হয়েছে তাঁদের দিকে অনেক দিন ধরেই দলের নজর ছিল।তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন যারা মন দিয়ে বিজেপি সভাপতির কথা শুনেছেন সেসব বিজেপি নেতা বা কার্যকর্তারা ২০২৪র আগে নিজেদের কাজ ও নিজেদের আচরণ নিয়ে এবার অনেক বেশি সতর্ক হবেন।

অন্যদিকে, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা মুখ্যমন্ত্রী পদে
নতুন মুখ আনার যে ব্যাখ্যা হাজির করেছেন তাতে স্পষ্ট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা চান না
শিবরাজ, বসুন্ধরা, রমন সিং’রা আর রাজ্য-রাজনীতিতে নাক গলান। নাড্ডা এবলেছেন, ‘তিন নেতাকেই বুঝিয়ে বলা হয়েছে দল নতুন পথে এগোতে চায় নতুনদের তুলে আনা দলের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে নাড্ডা যোগ করেন তাঁর অর্থ এই নয় যে প্রবীণদের দায়িত্ব শেষ এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন ‘তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির সময়ই নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো প্রার্থী বাছাই করা হয়। তাঁর কথায়, ‘দল ক্ষমতায় আসতে না পারলে কে বিরোধী দলনেতা হবেন তাও ভোটের আগেই ঠিক করা ছিল। এর মানে বিজেপির প্রত্যেক নেতাকে যে স্ক্যানে রাখেন মোদী-শাহ নাড্ডা প্রকাশ্যে তারই বড় খোলসা করে দিলেন তিনি।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version