Quadrantid Meteor: আগামী সপ্তাহেই আতসবাজির মতো উল্কাবৃষ্টি! ডিসেম্বরেই কেন খসে পড়ে তারারা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Quadrantid Meteor: আতসবাজির মতো উল্কাবৃষ্টি দেখতে চান! দেখতে চান উল্কাদের ফুলঝুরির মতো ঝড়ে পড়তে! তাহলে আর কয়েকটি দিনের অপেক্ষা। সামনের সপ্তাহের শেষেই দেখতে পাবেন এই মহাজাগতিক ঘটনা। ১৩ -১৪ ডিসেম্বর ডিসেম্বর রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে তারাখসা দেখে আপনি অভিভূত হতেই পারেন। এমনিতে সকলের কাছেই ডিসেম্বর মানেই বছরের বিশেষ একটা মাস। একে তো বছর শেষ, তার উপরে আবার রয়েছে ক্রিসমাস। তাছাড়াও এই ডিসেম্বরেই মহাকাশেও একাধিক ঘটনা ঘটে থাকে। তেমনই এক ঘটনা হল উল্কার বৃষ্টি। আচ্ছা বলুন তো বার বার এই ডিসেম্বরেই এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায় কেন? সত্যিই কি তারাদের গা থেকে খসে পড়ে সেগুলি?কিভাবে হয় তাদের নামকরণ? চলুন আপনার সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক এই প্রতিবেদনে।

ভাবুন তো, আকাশের বুক থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে তারারা। মাঝ রাতে অন্ধকারে আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করছেন আপনি। মহাকাশের অনন্য সেই দৃশ্য দেখতে পাবেন এই ডিসেম্বরে। ঝাঁকে ঝাঁকে উল্কাখণ্ডগুলি পৃথিবীর বুকে ঝড়ে পড়বে। ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৫০ টা। সাধারণভাবে একে তারাখসা বলা হয়।মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় মেটিওর সাওয়ার বা উল্কা বৃষ্টি। জোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ডিসেম্বর জুড়েই এই উল্কাবৃষ্টি হবে। ১৩-১৪ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি পরিমাণে এই উল্কাবৃষ্টি দেখতে পাওয়া যাবে। নৈনিতালের আর্যভট্ট অবজারভেশনাল সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের মতে, এই ঘটনার নাম ‘জেমিনিড উল্কাপাত’। এই প্রক্রিয়াটি নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই ঘটনাকে ‘তারাখসা’ বলা হলেও এর সঙ্গে তারার কোনও সম্পর্ক নেই।

আচ্ছা বলুন তো, উল্কাবৃষ্টি কিভাবে হয়? আসলে ধুমকেতুর ধ্বংসাবশেষ মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে থাকতে থাকে। কিন্তু ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার আগে সেগুলি জ্বলতে শুরু করে। এই জ্বলন্ত উল্কা ধংসাবশেষকেই তারাখসা বলা হয়। পৃথিবীর বাইরের যে কোনও বস্তু যখন তার বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন বস্তুটির চাপ, তাপমাত্রা, উপাদান, ভর প্রভৃতি পরিবর্তিত হয়। বায়ুমণ্ডলীয় উপাদানের সঙ্গে বস্তুটির সংঘর্ষ ঘটে ও রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। একই ভাবে উল্কাখণ্ড বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার ফলে তার ভেতরের তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার বাইরের অংশ পুড়ে যায়। এই সময় তীব্র তাপের কারণে উজ্জ্বল আলোকছটার সৃষ্টি হয়। আর একেই ‘তারা খসা’ বলি আমরা।

কিছু উল্কা একই উৎস হতে উৎপন্ন হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে যায়। তারা যখন একসঙ্গে জ্বলন্ত অবস্থায় পৃথিবীর বুকে ছুটে আসে, তাকে তখন উল্কাবৃষ্টি বলে। দেখে মনে হয় আকাশে আতসবাজির উৎসব চলছে। এবার এই ডিসেম্বরে ১৩-১৪ তারিখে সেই মহাকর্ষীয় আসতবাজির উৎসব দেখার জন্য চোখ রাখুন আকাশে দিকে। সারাবছরই আকাশে উল্কাপাত হয়ে থাকে। শীতকালে যেহেতু রাতের আকাশ পরিষ্কার থাকে তাই সহজে এদের দেখা যায়। এই যে উল্কাবৃষ্টি হবে মহাকাশের পরিভাষায় এর নাম জেমিনিড।

বছরের সেরা উল্কাবৃষ্টি বা জেমিনিড প্রতি বছরই ডিসেম্বর মাসে আকাশকে গ্রাস করে থাকে। খুব অল্প সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে এটি। যা ১৩-১৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। উল্কাবৃষ্টির এই দর্শনীয় আলো দেখতে আপনাকে মিথুন তারামণ্ডল অর্থাৎ জেমিনির দিকে তাকাতে হবে।সেই কারণেই এই উল্কাবৃষ্টির নাম জেমিনিড।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version