Bangladesh: মাতারবাড়ি বাংলাদেশের ‘ইকোনমিক গেম চেঞ্জার’! কিভাবে ভারতের সাথে সম্পর্ক বদলাবে এই ফর্মুলায়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: এটাও সম্ভব? দুদিন আগে যে নামটার সাথেই অনেকে পরিচিত ছিল না, এবার সেই “মাতারবাড়ি হবে বাংলাদেশের ইকোনমিক গেম চেঞ্জার” হ্যাঁ, “সোনার বাংলাদেশ” এর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার দেশ।

রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। মহেশখালী দ্রুত বদলে যাচ্ছে! সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটছে চোখে পড়ার মতো! শুধু তাই নয়, মাতারবাড়ী বদলে দেবে বাংলাদেশ, জাপান ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক অর্থনীতির সমীকরণ। জানেন কেন বলা হচ্ছে, মাতারবাড়ী কে কেন্দ্র করে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি? কোন ফর্মুলা লুকিয়ে আছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে? এতো কম সময়ে, মাত্র বছরের ব্যবধানে পুরোপরি পাল্টে যাওয়া একট জায়গা বাংলাদেশের মহেশখালীর মাতারবাড়ী।

জাপানি বিনিয়োগে এখানেই গড়ে উঠছে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। জাপানের “বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ” এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হয়ে উঠছে মহেশখালীর এই বন্দর! পুরো অঞ্চল হয়ে উঠছে এশিয়ার বিজনেস হাব! হ্যাঁ, এর মানে একটাই। বিশেষজ্ঞরা যেমনটা বলছেন, মনে করছেন যে, চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে শুধু মাতারবাড়িই বদলাবে না, এই মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে বদলে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

ভাবা যায়? এটাও সম্ভব? দুদিন আগে যে নামটার সাথেই অনেকে পরিচিত ছিল না, এবার সেই “মাতারবাড়ি হবে বাংলাদেশের ইকোনমিক গেম চেঞ্জার”। হ্যাঁ, “সোনার বাংলাদেশ” এর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার দেশ। রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। মহেশখালী দ্রুত বদলে যাচ্ছে! সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটছে চোখে পড়ার মতো! শুধু তাই নয়, মাতারবাড়ী বদলে দেবে বাংলাদেশ, জাপান ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক অর্থনীতির সমীকরণ জানেন কেন বলা হচ্ছে, মাতারবাড়ী কে কেন্দ্র করে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি? কোন ফর্মুলা লুকিয়ে আছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে?

এতো কম সময়ে, মাত্র বছরের ব্যবধানে পুরোপরি পাল্টে যাওয়া একট জায়গা বাংলাদেশের মহেশখালীর মাতারবাড়ী। জাপানি বিনিয়োগে এখানেই গড়ে উঠছে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। জাপানের “বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ” এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হয়ে উঠছে মহেশখালীর এই বন্দর! পুরো অঞ্চল হয়ে উঠছে এশিয়ার বিজনেস হাব!

হ্যাঁ, এর মানে একটাই। বিশেষজ্ঞরা যেমনটা বলছেন, মনে করছেন যে, চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে শুধু মাতারবাড়িই বদলাবে না, এই মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে বদলে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ভাবা যায়? যে উপকূলীয় এলাকা একসময় অবহেলিত ছিল, যেখানে সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস হতো, সেই এলাকাই এরপর বাংলাদেশের অর্থনীতির নেতৃত্ব হয়ে দাঁড়াবে। কেন? কোন কোন দিক দিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে এই মাতারবাড়ি?

ব্যস্ততম চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পাদিত হলেও, এই বন্দরের জাহাজগুলোকে ব্যবহার করতে হয় অন্য দেশের ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট, কারণ বড় জাহাজগুলো চট্টগ্রামে ভিড়তে পারে না মাতারবাড়িতে হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর, যেখানে ভিড়তে পারবে ১৬-১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় জাহাজও নোঙ্গর করতে পারবে এই বন্দরে। একসঙ্গে পরিবহন করা যাবে ১০-১২ হাজার টিইইউএস কন্টেনার পণ্য। ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে এই বন্দর চালু হবে।

ইতিমধ্যেই, ইতালির রেভেনা বন্দর সহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের পণ্য সরাসরি যাচ্ছে। পর্তুগাল সহ আরও কয়েকটা দেশের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে। বড় জাহাজে একসঙ্গে বেশি পণ্য এলে এবং সরাসরি পণ্য পাঠাতে পারলে বন্দরে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমে যাবে। এরই মধ্যে গভীর সমুদ্রবন্দরে প্রকল্পের পণ্যবাহী ১১৭টি জাহাজ ভিড়েছে। এতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ নিজেই হবে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টের মালিক। এতদিন বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে অন্য দেশের বন্দর, আর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর হবে রিজিওনাল পোর্ট, বাংলাদেশের অন্যান্য বন্দর যেমন সুবিধা পাবে তেমন প্রতিবেশী দেশও তাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে! এই বন্দরের সঙ্গে থাকবে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। না এখানেই শেষ নয়, এই উন্নয়নযজ্ঞের লম্বা তালিকা রয়েছে।

এই প্রকল্পগুলো পুরোপুরি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাখো মানুষ নিজেদের জীবিকার সন্ধান পাবে। ঘটবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, এখনই মাতারবাড়িতে সাড়ে ৩-৪ হাজার বিদেশী কাজ করছেন। শিল্পায়নের পর, দেশী বিদেশী কর্মসংস্থান আরও বাড়বে। কারণ শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর আর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, এখানে তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেললাইনও! প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মাতারবাড়ি হবে রিজিওনাল হাব
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগের জন্য এটা উপযুক্ত এবং আকর্ষণীয় জায়গা।

এককথায়, গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়ি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ‘পাওয়ার অ্যান্ড পোর্ট হাব।’ জল, স্থল এবং রেলপথে সংযুক্ত থাকবে মাতারবাড়ি। কিন্তু, ঢাকা টোকিও দিল্লির সমীকরণ কিভাবে বদলাবে মাতারবাড়ি? প্রশ্ন উঠছে।

ভারত ও বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মাতারবাড়ি থেকে ভারতের ত্রিপুরার দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। মানে ৬২ মাইল। কাজেই এই বন্দরটা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যও একটি গেটওয়ের কাজ করবে!
জাপান সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে একটি ‘বঙ্গোপসাগরীয় শিল্প হাব’ গড়ে তুলতে চায়! এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনায় মাতারবাড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা স্তম্ভ। কেউ কেউ তো এটাও বলছেন, বাংলাদেশ-জাপান-ভারতের মধ্যে একটি ফ্রি ট্রেড জোন গড়ে তোলার পথও প্রশস্ত করবে এই প্রকল্প। এতো সব সম্ভাবনা আছে বলেই তো মাতারবাড়ি প্রকল্পে জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা বিপুল পরিমাণ অর্থলগ্নি করছে। মূলত জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবের প্রস্তাবিত বিগ-বি ইনিশিয়েটিভই পাল্টে দিয়েছে মাতারবাড়ির ছবিটা। জাপানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করেই বাস্তবায়ন হচ্ছে বে-অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোর বেল্ট। এককথায়, বাংলাদেশের ভাগ্য ঘুরছে। এটা বুঝে নিতে হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়ক। আর, মাতারবাড়ি মানেই উন্নয়নের চাবিকাঠি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version