।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাস গাজা ছেড়ে পালিয়ে গেল দলে দলে গাজাবাসী এবার হবে নেতানইয়াহুর দাস! ইজরায়েল পুরোপুরি দখল করে নিল গাজা। আমেরিকা দাহা ফেল এবার ইউ টার্ন নেওয়ার পালা। ইজরায়েল যে প্রতিজ্ঞা করেছিল সেটা করে দেখিয়ে দিল। দীর্ঘ ১৬ বছর পর গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। হামাস গো হারা হেরে গেল ইজরায়েলের কাছে। এটাই সত্যি। মুসলিম বিশ্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকল কিন্তু গাজাকে বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ। এবার ইজরায়েল কি করবে গাজাবাসীর সঙ্গে? উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের। হামাস ইউক্রেন হতে পারল না তাহলে। গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে ইজরায়েল বাহিনী। গুঁড়িয়ে দিয়েছে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। মাটির নিচে মাকড়শার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গগুলোকে নিশানা করেও ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এবার ইজরায়েল বলে দিল গাজার বুক থেকে তারা চিরতরে মুছে দিয়েছে হামাসকে।
হামাসকে এবার কে দেবে নিরাপত্তা ইরান, লেবানন নাকি সিরিয়া? না তারাও হাত গুটিয়ে নেবে এখানে তাহলে বলতেই হয় আমেরিকাও আটকাতে পারল না ইজরায়েলকে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন গাজাবাসীকে কে প্রটেক্ট করবে? প্যালেস্তাইন অধিকৃত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষ হলে সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব ইজরায়েলের হাতে থাকবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে আমেরিকা। শনিবার তেল আভিভে নেতানিয়াহু বলেছিলেন গাজা যুদ্ধ শেষ হলে সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে ইজরায়েল। তবে তিনি এটাও বলেছিলেন গাজাকে দখল বা শাসন করবে না তিনি। নেতানিয়াহু আরো বলেন, ‘একটি বেসামরিক সরকার প্রয়োজন তার এই বক্তব্যে আমেরিকা বেশ অবাক। তাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ইজরায়েলের পিএমের কাছ থেকে। কিন্তু আমেরিকাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার আগে নেতানইয়াহুর কাঁধে রয়েছে সবথেকে বড় দায়িত্ব। হামাস গাজ়ার ‘দখলচ্যুত’ হওয়ায় এ বার ইজ়রায়েলের একটাই কাজ বাকি পড়ে রয়েছে সেটা হল হামাসের হাত থেকে তাঁদের পণবন্দি নাগরিকদের ছাড়িয়ে আনা। সেই কাজেই মনোনিবেশ করেছে নেতানিয়াহুর সেনা। কী ভাবে পণবন্দিদের দ্রুত মুক্ত করা যায় তারই চিন্তাভাবনা চলছে।
ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করছে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কাতার। কাতারের প্রতিনিধির মাধ্যমে একে অপরকে বার্তা দিচ্ছে যুদ্ধরত দুই পক্ষ। হামাসের তরফে মুখপাত্র আবু ওবেদিয়া বলেছেন আমরা মধ্যস্থতাকারীকে জানিয়েছি যে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি পেলে আমরা কিছু পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি। কিন্তু কোথায় আর যুদ্ধবিরতি! গাজাই তো পুরোদস্তুর দখল করে নিয়েছে। এবার হামাস পণবন্দিদের গাজাতেই লুকিয়ে রেখেছে নাকি অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছে সেটা খুঁজে বের করাটাই ইজরায়েলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকেই বলছে হামাস কিন্তু যেচে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডাকল। বেশ তো গাজায় রাজ করছিল তারা কিন্তু ৭ অক্টোবর আগ বাড়িয়ে ইজরায়েলের ওপর হামলা কার্যত শনি ডেকে আনল। এই সংঘাতে শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। একের পর এক শীর্ষ হামাস নেতাকে নিকেশ করেছে তারা গাজার অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়ামকে খতম করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবার দেখার গাজার শাসনভার কে নেবে? আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে ঠিক কি স্টেপ নেয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম