Longest Bailey Bridge: তিস্তার গভীরে ম্যাসিভ অপারেশন, দানবাকৃতির ভয়ানক প্রাণী নামালো ইন্ডিয়ান আর্মি ? চাঁদ পেল উঃ সিকিম

।। প্রথম কলকাতা ।।

Longest Bailey Bridge: তিস্তার বুকে ম্যাসিভ অপারেশন। দানবাকৃতির এটা কি বানালো ইন্ডিয়ান আর্মি? কাটলো অভিসাপ, বর্ডারের পাশেই চীনকে কুপোকাত করার মন্ত্র? ভারতের মাটিতে এতো ভারী কনস্ট্রাকশন, হাঁ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিস্ময় দেখলো গোটা বিশ্ব। উত্তর সিকিমের হাতে সোনার পাথড়বাটি, সিঙ্গেল স্প্যান বেইলি ব্রিজ কোথায় পৌঁছে দিল ভারতকে? দুর্যোগের অভিশাপে ৩রা অক্টোবরের কালো ছায়া সরলো। সিকিমে তৈরি হলো ভারতের দীর্ঘতম সিঙ্গেল স্প্যান বেইলি ব্রিজ। উত্তর সিকিমকে আবারও জুড়ে দিল ২০০ ফুট দীর্ঘ এই বেইলি ব্রিজ। ইন্ডিয়ান আর্মিকে দেখে ঈর্ষা হচ্ছে? দাঁড়ান, পুরোটা জেনে নিন। জানেন কিভাবে মুছে গেল বন্যার ক্ষত? মাত্র ৪৫ দিন, বন্যার দেড় মাসের মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ে গেল উত্তর সিকিমে। কোন টোটকা কোন মন্ত্রে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো ইন্ডিয়ান আর্মি? ভেবে দেখুন, লোকেশন টা কিন্তু খুব ইম্পরট্যান্ট।

পাশেই ভারত চীন বর্ডার তাই সড়কপথে উত্তর সিকিমের সঙ্গে কানেক্ট করা সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ও ইন্ডিয়ান আর্মির জওয়ানরা রাতদিন এক করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করার কাজ শুরু করে। অবশেষে সেই কাজ শেষ হয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উত্তর সিকিম। মনে করিয়ে দিই, গত মাসে অক্টোবরের ৩ তারিখ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে যায়। তিস্তা নদীতে জলস্তর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। হড়পায় বাড়িঘর, সেতু ভেসে যায়। ভেঙে যায় রাস্তা। চুংথাংয়ে তিস্তা নদীর ওপর থাকা সেতুটিও জলের তোড়ে ভেসে যায়। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে ছিল নদীর দু-দিকের এলাকার মধ্যে যোগাযোগ। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল চুংথাং। সেই চুংথাংকেই জুড়লো সিঙ্গল স্প্যানের সব থেকে লম্বা তৃতীয় বেইলি ব্রিজ। ২০০ ফুটের ওই বেইলি ব্রিজটি তৈরি হওয়ায় ফলে একদিকে যেমন স্বস্তি ফিরেছে প্রশাসনিক মহলে, অন্যদিকে খুশি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারাও।

এর আগে উত্তর সিকিমের মঙ্গন ও টুং এলাকায় দুটি বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। এবার হলো বিরাট আকারের তৃতীয় বেইলি ব্রিজ, ভারতের দীর্ঘতম। জানিয়ে রাখি, সিকিম সরকার আগেই জানিয়েছিল বিপর্যয়ের পর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ৯ টি বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে ২০০ ফুট চওড়া এই সেতুটিকে “ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়” বলা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং সবচেয়ে ভারী সিঙ্গল স্প্যানের এই বেইলি ব্রিজের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সামদুপ লেপচা, ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিআরও এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। যা বর্ডারে ভারতের পজিশনকে আরো বেশি শক্ত করলো।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version