Arun Jaitley: আইনি বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন বহু নেতা-মন্ত্রী, শুভ জন্মদিন অরুণ জেটলি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Arun Jaitley: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) প্রথম মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ভারত সরকারের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। শুরু থেকেই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সাপোর্টার। ১৯৫২ সালের আজকের দিনেই জন্ম হয় অরুণ জেটলির (Arun Jaitley)।

দিল্লির (Delhi) সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে স্কুল জীবন শুরু। ১৯৭৩-এ শ্রীরাম কলেজ থেকে বিকমে স্নাতক হন। এরপর ১৯৭৭-এ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন। ১৯৭৫-এ সারা দেশে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের (Indira Gandhi Government) বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে ১৯ মাস আটক করে রাখা হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে বিজেপি যুব মোর্চার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৮০-তে দিল্লি বিজেপির সেক্রেটারি করা হয় তাঁকে। আইনজীবী হিসেবে বহু মামলা লড়েছেন। কোনও কোনও সময় সরকারে প্রধান সমস্যা সমাধানকারী হয়ে উঠতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে ‍।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আইনজীবী হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন হাইকোর্টে (High Court) আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯০-তে দিল্লি হাইকোর্টে সিনিয়র অ্যাডভোকেটের মর্যাদা পান। ১৯৮৯ সালে ভিপি সিং-এর নেতৃত্বাধীন জনতা দল সরকারের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আইনি বিষয়ে বহু সাহায্য পেয়েছেন নেতা-মন্ত্রীরা। জানা যায়, বোফর্স মামলার কাগজপত্র তিনি তৈরি করেছিলেন। ১৯৯৯-তে বিজেপির (BJP) মুখপত্র হয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে (Atal Bihari Bajpayee Government) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অরুণ জেটলি। একটা সময় বাজপেয়ী সরকারের আইনমন্ত্রী এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের শুরু থেকেই তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। কোনও কোনও সময় সরকারে প্রধান সমস্যা সমাধানকারী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীনই ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলে, বিয়ে করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী গিরধারীলাল ডোগরার কন্যা সঙ্গীতাকে। এক ছেলে ও এক মেয়ে রোহন এবং সোনালী। ২০১৯-এর ২৪ অগাস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version