।। প্রথম কলকাতা ।।
এই পৃথিবীতেই বাস কিছু আজব মানুষদের। যাদের কীর্তিকলাপ দেখলে ভাববেন, এমনটা কীভাবে সম্ভব? দেখলেই ভয় পেয়ে যাবেন। কেউ শরীরে করেছেন হাজার হাজার ছিদ্র, কারোর রয়েছে সাপের মতো লম্বা জিভ। কেউ বা গোঁফ কাটেন না ৩০ বছরের বেশি। আবার কারোর হাতের নখ হরর মুভির মতো। এসব কীর্তিকলাপের জন্যই নাম উঠেছে গিনিস রেকর্ডে। চলুন একে একে জেনে নেওয়া যাক, সেই সমস্ত অদ্ভুত মানুষদের কিছু ট্যালেন্টের কথা। দেখে আপনার চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য।
তালিকার প্রথমেই রয়েছেন, ইলেইন ডেভিডসন। এনাকে এক ঝটকায় দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। ভয়ঙ্কর দেখতে। সারা শরীরে হাজার হাজার ছিদ্র। পুরো মুখ জুড়ে পরে থাকেন প্রচুর রিং। ডেভিডসন হলেন, পৃথিবীর সবথেকে বেশি পিয়ারসিং করা ব্যক্তি। মুখ জুড়ে রিং থেকে শুরু করে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না। গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে যখন নাম তোলেন, তখন শরীরে ছিল ৪৫০ এরও বেশি ছিদ্র। ২০১১ সালে যখন গোনা হয়, তখন ছিদ্রের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৯২৫টি। নিশ্চয়ই ভেবে হয়রান হচ্ছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? জানলে আরো আশ্চর্য হবেন, ডেভিডসনের জিভেও রয়েছে অজস্র ছিদ্র।
দ্বিতীয় যার নাম বলব, এনার মতো অনেকেই জিভ দিয়ে ছুঁতে চান নাক। এই যে দেখতে পাচ্ছেন আমেরিকার নিক স্টোর্বাল, এনার কাছে জিভ দিয়ে নাক কিংবা কনুই স্পর্শ করা কোন ব্যাপারই নয়। কারণ নিকের কাছে রয়েছে প্রায় ১০.১ সেন্টিমিটারের লম্বা জিভ। যার কারণে তিনি ২০১২ সালে গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের নাম লেখান। জিভ দিয়ে অনায়াসে এঁকে দেন ছবি। নিকের জিভ সাপের মত দেখতে ভয়ঙ্কর।
হাতে বড় বড় নখ বাড়ানোর শখ অনেকেরই। কিন্তু জানেন কি, আমেরিকা লি রেডমণ্ডের কাছে রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নখ, লম্বায় ১৮ ফুটের বেশি। সেই ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি নখ বাড়ানো শুরু করেন। ভাবছেন টা কি, লি এই এত বড় বড় নখ দিয়ে কীভাবে খাবার খান কিংবা কাজ করেন কীভাবে? যদিও লিয়ের নাকি খুব একটা অসুবিধা হয় না। আপনার হাতে যদি এত বড় নখ থাকত, আপনি কি করতেন? এত বড় নখ কি আপনার চাই? জানান কমেন্টে।
এবার আসে যাক ভারতীয় এক ব্যক্তির কথায়। দেখুন, ভারতে বহু অঞ্চলে পুরুষদের দাড়ি গোঁফ রাখাকে আভিজাত্য বলে মনে করা হয়। কিন্তু জয়পুরের রামসিং এক্কেবারে আলাদা। কারণ এনার কাছেই রয়েছে দুনিয়ার সব থেকে বড় গোঁফ। লম্বায় প্রায় ১৪ ফুট। ৩৭ বছর ধরে ইনি গোঁফ কাটেননি। এনার গোঁফ এতটাই লম্বা যে, গলায় সাপের মতো পেঁচিয়ে রাখেন।
এই ব্যক্তিকে দেখে কিছুটা হলে হয়ত ভয় পেয়ে গেছেন। ভাবছেন এমনটা কীভাবে সম্ভব? আসলে ইনি গ্যারি টার্নার। এক বিরল রোগে ভুগছেন। লস এঞ্জেলসের এই ব্যক্তির শরীরে রয়েছে দীর্ঘতম ত্বক। নিজের শরীরের চামড়া বহুদূর পর্যন্ত টেনে রাখতে পারেন। একটা সময় সার্কাসে কাজ করতেন। গায়ের চামড়া দিয়ে দেখাতেন নানান কসরত। বুকের চামড়া টেনে ঢেকে ফেলতেন গোটা মুখ। যখন তিনি নিজের শরীরের চামড়া এইভাবে টেনে দেখান, তখন অনেকেই ভয় পেয়ে যান। তার পেটের চামড়া প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত টেনে আনতে পারেন। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়।
এবার আসে যাক এক বিরল ট্যালেন্টের কথায়। আঙুলের ডগায় বাস্কেটবল রেখে ঘোরানো বা স্পিনিং করতে তো অনেককেই দেখেছেন। এটা অনেকেরই শখ। কিন্তু টুথব্রাশের সাহায্যে বাস্কেটবল ঘোরানোটা যে সে ব্যাপার নয়। ২০১৯ সালে সন্দীপ সিংহ কাইলা এটা করে গিনিস বুকে নাম লেখান। মুখের মধ্যেই টুথব্রাশ রেখে তার সাহায্যে বাস্কেটবল স্পিনিং করা তার কাছে যেন জল ভাতের ব্যাপার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম