।। প্রথম কলকাতা ।।
Narendra Modi: আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছেছেন অযোধ্যা ধামে। স্টেশন এবং বিমানবন্দরের উদ্বোধনের আগে রোড শো তে অংশ নেন নমো। পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে অভ্ভর্থনা জানানো হয় নরেন্দ্র মোদীকে। এইদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ২ টি অমৃত ভারত ট্রেন এবং ৬ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন। ২৪০ কোটি টাকা খরচা করে পূণর্নির্মান করা হয়েছে এই অযোধ্যাধাম স্টেশনের। সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করলেন তিনি। নীল-সাদা রঙের বন্দে ভারত এবং গেরুয়া-ছাই রঙা অমৃত ভারত অযোধ্যা স্টেশন থেকে বিপরীতমুখী গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করল। সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগেই বছরের শেষে জমজমাট রাম নগরী অযোধ্যা।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা মহামূল্য, বিশেষ পাথরে নির্মিত, বিশালাকার রাম মন্দিরটি দেশবাসীর পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছেও নজির হতে চলেছে। ৩৯২টি স্তম্ভবাহী ৩৮০ ফুট দীর্ঘ, স্বর্ণখচিত গর্ভগৃহের দরজা বিশিষ্ট বিশালাকার এই মন্দির। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে অযোধ্যাকে ঢেলে সাজানোর। শুধু দেশ নয় একইসঙ্গে বিদেশ থেকে নাগরিকরা আসবনে রাম মন্দির দর্শনে। তাই শহরের পরিকাঠামোকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনে কোটি কোটি টাকা খরচ নিয়ে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। অযোধ্যায় গিয়ে নতুন করে সাজিয়ে তোলা রেল স্টেশন এবং নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধনে এসে নমোকে বলতে দেখা যায়, এই ভারত ঐতিহ্য এবং নতুনত্বের মেলবন্ধন৷ অযোধ্যাই তার প্রমাণ৷ ‘একটা সময় ছিল রামলালা তাঁবুতে থাকতেন। এখন পাকা ঘর কেবলমাত্র রামলালাই নয় দেশের চার কোটি নাগরিকও পেয়েছেন।’ বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দিকে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মোদী সংযোজন করে বলেন, ‘অযোধ্যানগরীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কোনও কসুর বাকি রাখছি না।’এই সব কিছুর মাঝে আজকের দিনটির বিশেস্বত্ব তুলে ধরেন তিনি। নমো বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আন্দামানে নেতাজি ভারতের স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে যদি বলতে দেখা যায়, মহর্ষি বাল্মীকি আমাদের রামায়ণের মাধ্যমে প্রভু রামের কৃতীত্বের সঙ্গে পরিচয় করান। তাই তাঁর নামেই এই ধামের এয়ারপোর্টের নামকরণ করা হয়েছে।’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম