Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছেপূরণ! ১০০০ টাকা কীভাবে কাজে লাগছে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Lakshmir Bhandar: মায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়েই ডাক্তার হলেন বীরভূমের রাহুল। ভাবছেন এ কীভাবে সম্ভব! হ্যাঁ অভাবের ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১০০০ টাকা অনেক চিন্তা দূর করেছে। মায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় মোবাইল রিচার্জ। সেই মোবাইল দিয়েই চলেছে পড়াশোনা। অবশেষে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলেন বীরভূমের ছাত্র।

 

দিনে বাবার চায়ের দোকানের কাজ সেরে বাকি সময়ে পড়াশোনা। এমনকী পড়াশোনার জন্য রাতের পর রাত জাগতে হয়েছে তাঁকে। কোনও প্রাইভেট টিউটর ছিলেন না।
ডাক্তারি পড়ার সুযোগ তো পেয়েছেন । এই সাফল্যের পিছনে নাকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অবদান অনেকটা।

 

এখন পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ভীষণ প্রয়োজনীয়। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়়় গরুর দুধ বিক্রি করে একটি ফোন কিনেছিলেন রাহুল। কিন্তু তাতে প্রতিমাসে ইন্টারনেট ভরবেন সে ক্ষমতা ছিল না। রাহুলের মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। সেই টাকা থেকে ছেলেকে ইন্টারনেট রিচার্জ করে দেন। সেই ফোন দিয়েই ছেলে পড়াশোনা করেছে। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন রাহুল। যদিও প্রথমে অবশ্য ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। বরং ইচ্ছা ছিল সরকারি চাকরি করার।

 

কিন্তু সেই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার করার ইচ্ছা হয়। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ তাঁর বাবা চালাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। অবশেষে ডাক্তারি পড়ারই সিদ্ধান্ত নেন। পরিশ্রমের ফলস্বরূপ প্রথমবার ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েই ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৭৩ পেলেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা রাহুল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ১২ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে তাঁর র‍্যাঙ্ক।

 

মোবাইলে বিভিন্ন কোচিং-এর ক্লাস শুনতেন। বাড়িতে কম্পিউটার নেই। একটা টিভি ছিল, সেটিও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এখন মোবাইলটাই সম্বল। ‘বাড়িতে একটি দুধেল গাই আছে। ১০ কেজি করে দুধ দেয়। সেই দুধ বিক্রি করেই ছেলের বই কেনা হয়েছে। তবুও ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না।

 

রাহুলের বাবা কোনোরকমে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। মা মাধ্যমিক পাশ। তাদের ছেলের অক্লান্ত পরিশ্রম সাফল্য এনে দিয়েছে ডাক্তারির প্রবেশিকায়। তবে এত ভালো ফলাফলের পরও চিন্তায় রাহুলের পরিবার। ডাক্তারি পড়ার খরচ কীভাবে আসবে? সেই চিন্তায় উড়েছে রাতের ঘুম। এই ডাক্তারি পড়ার খরচ জোগাবে কে? যদিও লোন নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে রাহুল। সব বাধাকে টপকে এগিয়ে যাক রাহুল। চান অনুরাগীরাও।

https://fb.watch/sAYPo2KERz/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version