।। প্রথম কলকাতা।।
Aloe Vera Farming : ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্টে যদি আগামী পাঁচ বছরের জন্যে নিশ্চিন্ত হয়ে থাকা যায় তবে সেই চাষের ব্যবসা কে না করতে চাইবেন। তার উপরে আবার প্রতিবছর দুহাতে সেই চাষ থেকেই মুনাফা লাভ লাভ করার সুযোগ । শুনতে অবাক লাগলেও এটা একেবারেই সত্যি। বর্তমানে দেশ হোক কিংবা বিদেশ উভয় বাজারেই ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে অ্যালোভেরার। কারণ ওষুধ কিংবা ক্রিম তৈরি করার জন্য অ্যালোভেরার চাহিদা বাজারে বাড়ছে ক্রমশ। তাই এই অ্যালোভেরা চাষ কৃষক বন্ধুদের জন্য খুবই উপযোগী।
এই অ্যালোভেরা চাষ করার জন্য ঠিক কতটা পুঁজি থাকা প্রয়োজন ? কোন প্রজাতির অ্যালোভেরা চাষ করলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন কৃষকরা ? মোটামুটি বছরে ঠিক কত টাকা আয় করা যাবে এই চাষ দিয়ে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে।
* একটি গাছে ফলন ৫ বছর পর্যন্ত
প্রত্যেক বছর কৃষকদের নতুন নতুন অ্যালোভেরা চারা লাগিয়ে চাষ করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এই গাছের এক একটি চারা প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত খুব ভালো ফলন দেয় । তাই চারা গাছ লাগানোর পাঁচ বছর পর ফের নতুন করে চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এছাড়াও একটা অ্যালোভেরা গাছের গোড়া থেকে ছোট ছোট অনেক অ্যালোভেরা গাছের চারা বের হয়। এতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে চার মাস। আপনি চাইলে সেই চারা তুলে নিয়ে অন্য জায়গাতে ফের চারা বসিয়ে চাষ করতে পারবেন।
* মার্কেট চাহিদা
বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল, অ্যালোভেরা ক্রিম সহ আরও একাধিক এমন প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। যার জন্য বহু চাষী এখন অ্যালোভেরা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।
* লাভের পরিমাণ
একটা পূর্ণবয়স্ক অ্যালোভেরা গাছ প্রায় সাড়ে তিন কিলো মতো পাতা দিতে পারেন। আর অ্যালোভেরার সেই তাজা পাতা বিক্রি করে কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে এই পাতা ১৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে। আরও ভালোভাবে বোঝাতে গেলে বলা যায়, এক একর জমিতে যদি অ্যালোভেরা চাষ করা যায় তাহলে সেখান থেকে প্রায় কুড়ি হাজার কেজি অ্যালোভেরা উৎপাদন করা যাবে। এক বিঘা জমিতে অ্যালোভেরা চাষ করতে খুব বেশি হলে খরচ হবে ৪০ হাজার টাকা। আর সেই অ্যালোভেরা যখন বিক্রির সময় আসবে তখন সেখান থেকে প্রায় দেড় লক্ষ্য থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।
* কোন প্রজাতির অ্যালোভেরা সবথেকে ভালো ? চাষের নিয়ম
অ্যালোভেরার বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। তবে চাষের জন্য অ্যালোভেরা বার্বাডেন্সিস প্রজাতি ভীষণ জনপ্রিয়। কৃষকেরা ব্যবসার জন্য এই প্রজাতির অ্যালোভেরা লাগাতেই বেশি পছন্দ করেন । তার যদিও নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। এই প্রজাতির অ্যালোভেরা খুব দ্রুত বড় হয় এবং এর পাতাগুলো মোটা হওয়ার কারণে বেশি জেল পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা চাষ করার উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত। যখন অ্যালোভেরার চারা লাগানো হবে তখন অবশ্যই দুটি চারার মাঝে দু ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। এই চাষের জন্য বিশেষ ধরনের কোন মাটির প্রয়োজন হয় না । একবার লাগানো অ্যালোভেরার চারা বড় হয়ে পাতা দেবে। সেই পাতা কেটে বিক্রি করার পর আয় করতে পারবেন কৃষকরা। অন্যদিকে ওই পুরনো গাছটি থেকে আবার নতুন পাতা গজাবে । এছাড়াও পুরনো গাছের গোড়া দিয়েই বেরোবে নতুন চারা। সেগুলি বিক্রি করাও কিন্তু ভালো ব্যবসা হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম