Tarapith Temple: তারা মায়ের পুজোর ফুল জঞ্জালে নয়, তৈরি হচ্ছে দুর্দান্ত জিনিস! জানলে অবাক হবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Tarapith Temple: তারা মায়ের পায়ের ফুল দিয়ে কি হয় জানেন? তারাপীঠে জমা হওয়া কুইন্টাল কুইন্টাল ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে অভিনব জিনিস। দেখে তো অবাক ভক্তরা। তারাপীঠে মা তারার পায়ে ভক্তরা নিবেদন করেন ফুল বেলপাতা। সাথে থাকে আলতা সিঁদুর শাঁখা পলা। মায়ের পায়ে অঞ্জলি দেওয়া এত পরিমানে ফুল বেলপাতা কোথায় যায়? ভেবে দেখেছেন কখনো? সবটাই কি ফেলে দেওয়া হয়? কিংবা জড়ো করে রাখা হয় মন্দিরের আশেপাশের কোন জায়গায়! না এমনটা নয়। মায়ের পায়ের ফুল দিয়ে এমন কাজ করা হয়, শুনলে অবাক হবেন। তারা মায়ের পায়ের ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব জিনিস। যা থেকে রসদ খুঁজে পায় সবুজ প্রাণেরা। শাখা প্রশাখা মেলে বড় হয়ে ওঠে সবুজ গাছ। বিস্তর উপকার পান কৃষকরা।

তারা মায়ের পুজোর ফুল জঞ্জালে নয়, সযত্নে তৈরি হয় প্রকৃতিবান্ধব সার। যেখানে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম। এই তো গেল কৌশিকী অমাবস্যা, মায়ের পায়ের জমা হয়েছিল প্রায় ১০ কুইন্টাল ফুল। অভিনব পরিকল্পনায় কোন ফুলই ফেলে দেওয়া হয় না। মায়ের পায়ের ফুল থেকে প্রকৃতি বান্ধব জিনিস তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছে মল্লারপুরের এক সেচ্ছাসেবী সংস্থা। ৬৫ দিনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ১০ কুইন্টাল ফুল থেকে তৈরি করবে প্রায় ১ কুইন্টাল ২৫ কেজি জৈব সার। বিগত ছয় বছর ধরে এমনটাই করছে এই সংস্থা।

ফুল থেকে সার বানাতে সময় লাগে প্রায় ৬৫ দিন। দু মাসেরও বেশি। প্রথমে পুজোর ফুল বেলপাতা এক জায়গায় জড়ো করা হয়। তারপর বাছাই করে আলাদা করা হয় শাখা পলা সিঁদুর আলতা এবং মালার সুতো। ৪ ঝুড়ি ফুলের সঙ্গে মেশানো হয় এক ঝুড়ি গোবর। সেই মিশ্রণ ৩৫ দিনের জন্য রেখে দেয়া হয় একটি চৌবাচ্চায়। তারপর তাতে দেওয়া হয় কেঁচো। পুরো প্রসেসিং চলে টানা ৬৫ দিন ধরে। শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে চেলে নেয়া হয়। প্যাকেট করে চলে যায় কৃষকদের কাছে। দাম শুনলে একটু অবাক হবেন। এই প্রকৃতিবান্ধব সারের এক কেজির দাম মাত্র কুড়ি টাকা।

শুধু কৌশিকী অমাবস্যা নয়। সারা বছর সপ্তাহে পাঁচ দিন গাড়িতে করে ওই সংস্থা তারাপীঠ মন্দির থেকে ফুল সংগ্রহ করে। কাজটা যতটা সহজ মনে করছেন ততটা কিন্তু নয়। রয়েছে হাজারো চ্যালেঞ্জ। হাত দিয়ে অত পরিমান ফুল থেকে সুতো, আলতা, সিঁদুর বাছাই করতে বেশ সময় লাগে। আরেকটা জিনিস ভাবলে অবাক হবেন, এই সংস্থা চাষীদের কাছে জৈব সার বিক্রি করেন ঠিকই, কিন্তু সেভাবে কোন লাভ রাখেন না। উদ্দেশ্য একটাই, জৈব সার ব্যবহারে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা। যাতে দূষণের হাত থেকে পরিবেশ রক্ষা পায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version