Clove Farming: এক প্যাকেট লবঙ্গই আপনাকে বানিয়ে দেবে কোটিপতি! একবার ইনভেস্টমেন্টে সারা জীবন আয়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Clove Farming: এক প্যাকেট লবঙ্গই আপনাকে বানিয়ে দেবে কোটিপতি! একবার ইনভেস্টমেন্ট সারা জীবন বসে বসে টাকা কামাবেন। লবঙ্গ কীভাবে তৈরি হয়? ঝাঁঝ বাড়াতে কি মেশানো হয় এতে? সেজন্যই তো এত দাম এই ছোট্ট মশলার। আপনি চাইলে ঘরের বাগানেই চাষ করতে পারেন লবঙ্গ। কিন্তু জানতে হবে সঠিক নিয়ম।

গোটা গরম মশলায় লবঙ্গ থাকা মাস্ট। কিন্তু শুধু খাবারের স্বাদ আর গুণই নয়, লবঙ্গ যেমন বাড়ায় ত্বকের সৌন্দর্য তেমন এর হেলথ বেনিফিটও মারাত্মক। কিন্তু এই লবঙ্গই যদি আপনার ঘরের লক্ষ্মী আনে তাহলে কেমন হয় বলুন তো? চলুন তাহলে আজকে সিক্রেটটা ফাঁস করে দি। কীভাবে এই লবঙ্গই আপনাকে বানাতে পারে কোটিপতি? ভালো করে বুঝে নিন। একটি লবঙ্গ গাছ একবার লাগানো হলে
প্রায় ১০০ বছর বাঁচতে পারে। আর একেবারে বাড়িতেই সব নিয়ম জেনে চাষের উপযুক্ত জায়গা তৈরি করতে পারেন। লবঙ্গ চাষের জন্য কত তাপমাত্রা দরকার? ২৫° C থেকে ৩২° C তাপমাত্রার অঞ্চলগুলি লবঙ্গ চাষের জন্য ভালো। কারণ লবঙ্গ গাছটি ঠান্ডা বা আর্দ্র জলবায়ুতে জন্মায় না। এই অবস্থায় এই ফসল ফলানোর জন্য আপনি বাজার থেকে লবঙ্গের বীজ কিনতে পারেন। যা বপনের আগে রাতে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। হ্যাঁ লবঙ্গের বীজ বপনের আগে বীজকে ভিজিয়ে রাখতে হয়। কেমন ভাবে তৈরি করবেন লবঙ্গ গাছের মাটি?

ক্ষেতের মাটিতে জৈব সার যোগ করে বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করুন। তারপর ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে মাটিতে একটি গর্ত খুঁড়ে লবঙ্গের বীজ বপন করতে হবে। এই সময় খেয়াল রাখতে হবে সমস্ত বীজ একটি লাইনে রোপণ করা কি না। এর পরে মাটিতে হালকাভাবে জল ছিটিয়ে দিন । আর নিয়মিত সেচের এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। তবে দাঁড়িয়ে যান যদি আপনি সত্যিই ভাবছেন লবঙ্গ চাষ করে টাকা ইনকাম করবেন, তাহলে আপনাকে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে একটা কথা।

এই লবঙ্গ চাষের জন্য জমি তৈরি করতে গেলে আগে থেকে মাথায় রাখতে হবে যে সেই স্থানের জল নিকাশি ব্যবস্থা যেন খুব ভালো থাকে, না হলে গাছের চারা যদি জল জমে থাকে তাহলে তা পচে যাবে।
লবঙ্গ গাছ পোঁতার ৬ থেকে ৭ বছর পর শুরু হয় এতে ফল ফুল আসা, আর এখান থেকেই আপনার ইনকাম শুরু। শুরুতে সবুজ রঙের ফুল আসে লবঙ্গ গাছে, তারপর এই ফুলের গন্ধে ম ম করে সব এলাকা
বর্ষার শেষে এই ফুল পেকেই তৈরি যায় লবঙ্গ।

এই ফলগুলো গাছ থেকে তুলে রোদে শুকাতে দিতে হয় তাতেই ব্রাউন হয়ে যায়। অন্তত কড়া রোদে ১০-১২ দিন শুকাতে হয় লবঙ্গ। খুব নরম হয় এই ফল তাই সাবধানে তুলতে হবে। তারপর হাত দিয়ে ঘষলে উপরের চামড়া উঠে আসতে থাকে। বাদামি লবঙ্গ পাওয়া যায়, তবে হ্যাঁ আরও একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, লবঙ্গ গাছগুলির খুব বেশি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। তাই আপনাকে যত্ন নিতে হবে। গাছটিকে একটি ছায়াময় এবং ভাল বায়ুচলাচল স্থানে আনতে হবে। এ জন্য বড় বড় গাছের মাঝখানে এই গাছ লাগালে প্রপার ছায়া পাবে।

দেখুন ভারতীয় বাজারে লবঙ্গের চাহিদা অনেক বেশি। তাই লবঙ্গ চাষিরা নিশ্চিত লাভজনক
লবঙ্গ শুধু মসলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয় না। এটি টুথপেস্ট, গরম মশলা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাই লবঙ্গ চাষের পর বাজারে লবঙ্গ বিক্রি করতে গেলে এর দাম প্রতি কেজি প্রায় ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। এক বার এই বিজনেসে নামলে লক্ষ্মী যেচে আসবে আপনার ঘরে। https://www.facebook.com/100069378195160/posts/709705474685386/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version