।। প্রথম কলকাতা ।।
যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইজরায়েলের মুখে ভারতের নাম। ভারত গুরুত্বপূর্ণ কেন বলল ইজরায়েলের? ভারতীয় পড়ুয়ারা এমূহুর্তে কেমন আছে সেদেশে? যুদ্ধ বাড়তে থাকলে দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্যের উদ্বেগ বাড়ছে। যুদ্ধ শুরু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ইজরায়েলের পাশে রয়েছি আমরা। এবার সেই ইজরায়েলই জানিয়ে দিল ভারতের এই ঘোষণা ঠিক কেন গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য। কিন্তু দুদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কি নামতে পারে ধস? কীভাবে ভারত সামাল দেবে? ইজরায়েলকে অলরেডি সাহায্যে কথা ঘোষণা করে দিয়েছে আমেরিকা মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন নৌবাহিনীর ‘ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’কে ইজরায়েলকে সহায়তা করতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ এলাকায় আমেরিকান ফাইটার প্লেনের টহলও বাড়ানো হচ্ছে।
ইজরায়েল দাবি করেছিল তাদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, হামসকে ধ্বংস করে দিতে তারা একাই কাফি। এরইমধ্যে খবর ইজ়রায়েলে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা এখন প্রচণ্ড আতঙ্ক ও মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। ওই পড়ুয়াদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রচণ্ড অস্থির পরিস্থিতিতে তাঁরা সব সময়ে যোগাযোগ রেখে চলছেন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। ভারত জানে সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করা আসলে কী সেজন্যই ভারতের সমর্থন মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ জানালেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নায়র গিলন। সেই সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বে যে অবস্থানে ভারত রয়েছে এই সাপোর্ট ইজরায়েলের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এরই মাঝে একটা আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে এমনটাই দাবি কূটনৈতিক মহলের একাংশের।
ইজরায়েল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী। ভারত থেকে সে দেশে পণ্য ও পরিষেবা রফতানির অঙ্কও বেশ বড়, কিন্তু প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে শনিবার থেকে তাদের সংঘর্ষের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বাণিজ্য মহলে। বিশেষজ্ঞদরা বলছেন প্রাথমিক ভাবে বাণিজ্য কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু রফতানি বিমার প্রিমিয়াম এবং পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সংস্থাগুলির মুনাফা কিছুটা কমতে পারে। উদ্বেগ একটা জায়গাতেই সেটা হল এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সমস্যা বাড়বে মারাত্মক। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পণ্য ও পরিষেবা মিলিয়ে ভারত-ইজ়রায়েলের বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ১২০০ কোটি ডলার, প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতের উদ্বৃত্ত ৬১০ কোটি, প্রায় ৫০,৬৩০ কোটি টাকা।
এ দেশ থেকে ইজ়রায়েলে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় ডিজেল পালিশ করা হিরে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য পরামর্শদাতা সংস্থা জিটিআরআইয়ের বক্তব্য, যুদ্ধের কারণে এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন রফতানি বিমার উপরে বেশি প্রিমিয়াম নিতে পারে সংস্থাগুলির থেকে। এক্ষেত্রে একটা চাপ তৈরি হচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে মুম্বইয়ের রফতানি ব্যবসায়ী শরদ কুমার শ্রফের কথায়, ‘যুদ্ধ যদি আরও ছড়িয়ে পড়ে তা হলে রফতানিকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়বে। এই যুদ্ধ কতদিন চালাতে পারবে হামাস ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যদি না কোনও বড় শক্তি হামাসকে ব্যাকআপ দেয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম