কলকাতার কোন ব্রিজ উড়িয়ে দেবে ISI? বড় চক্রান্ত ফাঁস পাকিস্তানের

।। প্রথম কলকাতা ।।

কলকাতার কোন ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান আইএসআইয়ের। পাক চরের হোয়াটস অ্যাপ ঘেঁটে বিস্ফোরক তথ্য। পাকিস্তানের বড়সড় প্ল্যান ফাঁস। বিনিময়ে কী দেওয়া হত? দেশের সঙ্গে গদ্দারি। কীভাবে এই চর ধরা পড়েছিল খাস কলকাতা থেকে। পশ্চিমবঙ্গের থেকে বড় বদলা নেওয়ার চেষ্টা। পাকিস্তানের বড় অপারেশন এবার বাংলায় কিন্তু কেন? বড়সড় তথ্য উঠে এসেছে এসটিএফের হাতে। হাওড়া ব্রিজ, বালি ব্রিজ নাকি মা উড়ালপুল টার্গেট ছিল কোন লোকেশন? যদি কলকাতা থেকে এই একটা অ্যারেস্ট না হত তাহলে কেউ জানে না কতবড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। এতক্ষণে কলকাতার একের পর এক ব্রিজের ছবি নিয়ে কী করতে চেয়েছিল পাকিস্তান? ইসলামাবাদ থেকে পাক চরের কাছে নির্দেশ এসেছিল এমনটাই। বিনিময়ে কী দেওয়া হত গুপ্তচরকে? টাকা নাকি অন্য কিছু।

২৬ অগাস্ট রিপন স্ট্রিট থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল নিজেকে বিহারের বাসিন্দা বলে দাবি করা ভক্তবংশী ঝাকে। পাকিস্তানের হয়ে বড় মিশনে নেমেছিল অভিযুক্ত খবর এমনটাই। তার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মোবাইল ফোন। সেটা ঘেঁটে তদন্তকারীরা এক পাক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ খুঁজে পান। আর হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে নিয়মিত কথাবার্তার পাশাপাশি ভারতের সেনা ছাউনি, কোথায় কেমন ব্রিজ রয়েছে তার ছবি হাতে পান তদন্তকারীরা। কার্যত হানিট্র্যাপে ফেলা হয়েছিল ওই যুবককে এমনটাই প্রমাণ মিলেছে।

অভিযুক্ত ভক্তবংশী দিল্লির এক কুরিয়র সংস্থায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই কী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতাতো সে? STF-র প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দেশের গোপন তথ্য ছবি, ভিডিও অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে সে শত্রু দেশের হাতে তুলে দিয়েছে অলরেডি। তার পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের ছবি ‘রিট্রিভ’ করে দেখা যায় তাতে কলকাতার বালি ব্রিজের ছবি পাঠানো হয়েছিল। এমনকি নয়াদিল্লিতে থাকার সময়ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলেছিল বছর ৩৬এর ভক্তবংশী ঝা। সেগুলি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এমনকি কোরিয়ার সার্ভিসের বাকি কর্মীদের থেকেও দিল্লির নানা ব্রিজের সম্পর্কে জানতে চাইত ভক্তবংশী।

ভক্তবংশী ঝা জেরায় স্বীকার করেছে, পাকিস্তান থেকে নির্দেশ এসেছিল কলকাতার নানা সেতুর ছবি পাঠাতে। সেই সেতুর নিরাপত্তা কেমন রয়েছে সেই ইনফোও পাঠাতে বলা হয়েছিল। হাওড়ায় থাকাকালীন সে বালি ব্রিজের ছবি তোলে আর পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের তরুণীকে। তদন্তকারীদের দাবি সেই তরুণী আর কেউ নয় আইএসআইয়ের ফেলা ফাঁদ। বিশেষ করে বালি ব্রিজে নাশকতার কোনও পরিকল্পনা ছিল বলেই মনে করছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version