।। প্রথম কলকাতা ।।
Parenting Tips: বাচ্চাদের সাধারণত এমন খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয় যা থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে পারে। তবে অনেক অভিভাবক মনে করেন বাচ্চার যদি কোন কিছুতে অ্যালার্জি (Allergy) না থেকে থাকে তাহলে তাকে অল্পবিস্তর সবকিছুই খাওয়ানো যেতে পারে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী তাকে খাবার খাওয়ানো উচিত। আর বাড়িতে যদি থাকে দুই থেকে চার বছর বয়সের বাচ্চা (Child) তাহলে অবশ্যই তাকে খাবার খাওয়ানোর আগে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই চিন্তাই করে নেওয়া ভালো।
অনেক বাবা- মাই নিজেদের ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী বাচ্চাদের খাবার (Food) খাওয়াতে শুরু করেন। এক বছর বয়স হওয়া মাত্রই ফ্যাট ফ্রি বা লো ফ্যাট দুধ খাওয়াতে শুরু করেন। কারণ তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ফ্যাট মানেই খারাপ জিনিস। চিকিৎসকরা সাধারণত শিশুদের লো ফ্যাট বা ফ্যাট ফ্রি (Fat Free) খাবার তখন খাওয়াতে বলেন যখন তাদের ওজন খুব দ্রুত হারে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু আপনার শিশুর যদি স্বাভাবিক বৃদ্ধি থাকে তাহলে এইভাবে তাঁর খাবার কখনই বদলে দেবেন না। এছাড়াও আরও কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি ওই বয়সী বাচ্চাদের দেওয়া উচিত নয়।যেমন:
- এখন সবকিছুই প্রায় প্যাকেটে ভরা পাওয়া যায়। প্যাকেটজাত বা ক্যানজাত খাবার থেকে বাচ্চাকে যত দূরে রাখা যায় ততই ভালো। কারণ সেই খাবারগুলি অনেক সময় জীবাণুমুক্ত করা থাকে না। সেগুলি হতে পারে ফলের রস এমনকি দুধও । তাই বাচ্চাদের সব সময় ফ্রেশ খাবার খাওয়ানো উচিত।
- শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, বাচ্চাদের জন্যও অতিরিক্ত চিনি যথেষ্ট ক্ষতিকারক। ফল কিংবা দুধে প্রাকৃতিক ভাবে কিছুটা মিষ্টি উপাদান থাকে। তাতে কোনো রকম ক্ষতি নেই। তবে চকলেট, চিনি , মিষ্টি সিরাপ এই ধরনের প্রসেস করা খাবার থেকে বাচ্চাকে যত দূরে রাখা যায় ততই শ্রেয় । কারণ এতে তাঁর শারীরিক স্বাস্থ্য ক্ষয় হতে পারে।
- একটা দুই থেকে চার বছরের বাচ্চার দিনে ১২০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়ামের প্রয়োজন হয় না। সেই সোডিয়ামটি সে নুন অন্যান্য খাবার এমনকি দুধ থেকেও পেতে পারে। তাই কোনোভাবেই তাকে প্যাকেটের চিপস, ক্যানবন্দী চিপস অথবা ফ্রোজেন কোন খাবার খাওয়াবেন না। কারণ তাতে নুনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে।
- কাঁচা সবজি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী সেই সম্পর্কে কোন রকম সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই সবজি কীভাবে খাওয়াতে হবে এটা জানা প্রয়োজন । বড় বড় টুকরো করে সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না । বরং সেই সবজিগুলিকে সেদ্ধ করে গলিয়ে খাওয়ান । এতে শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে বাচ্চারা একটু বড় না হলে তাকে সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর বীজ বাদাম অথবা যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্যকর বীজ না খাওয়ানোই ভালো। ভুলবশত তা চিবানোর পরিবর্তে গিলে ফেললে হিতে বিপরীত হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম