।। প্রথম কলকাতা ।।
Interesting Fact: সাধারণত মহিলা-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সকলেই জিন্সের প্যান্ট পরতে বেশ অভ্যস্ত। এখন একটা গু টু পোশাকে পরিণত হয়েছে জিন্সের প্যান্ট। এই প্যান্টের সামনে দুটি পকেট এবং পেছনে দুটি পকেট থাকে সাধারণত। তবে বিভিন্ন স্টাইলের জিন্সের প্যান্ট রয়েছে যেখানে অনেকগুলি পকেট দেখা যায়। জিন্সের প্যান্টের বড় পকেট গুলির মধ্যে থাকে ছোট্ট একটি পকেট। কখনও কি ভেবে দেখেছেন এই পকেটটার আসল কাজ কী? কী জন্যই বা জিন্সের প্যান্টের মধ্যে থাকে ওই পকেটটা ? শুধুই কি ডিজাইন এর জন্য নাকি আদৌ এর কোন ব্যবহার রয়েছে ?
আমরা অনেকেই অভ্যাসবশত ওই ছোট্ট পকেটটার মধ্যে খুচরো কয়েন, ছোটখাটো কোন জিনিস, পেনড্রাইভ , মেমোরি কার্ড, যারা গিটার বাজান সেই গিটারের পিক রেখে থাকেন। আবার অনেকে নিজের জিন্সের প্যান্টের ওই পকেট থেকে কোনোভাবে ব্যবহারই করেন না। ওই পকেটটা এতটাই ছোট যে বিশেষ সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। কিন্তু একটু গুগলের সদ্ব্যবহার করলেই জানা যাবে ওই ছোট্ট পকেটটা একসময় বিশেষ একটা দরকারে জিন্সের প্যান্টে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই দরকার এখন ফুরিয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রায় ১৮০০ শতকের। সেই সময় পশ্চিমা অঞ্চলে কাউ বয়দের দেখা মিলতো। এখন যদিও এই কাউ বয় শুধুমাত্র সিনেমার কোন চরিত্রে কিংবা হ্যালুইনের সাজে দেখা যায়। তবে সেই সময় কাউ বয়রা ছিল রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কঠোর পরিশ্রমী যুবক। তা্রা সাহেবদের মত কোর্ট প্যান্ট পরতে অভ্যস্ত ছিলেন না। তাদের খুব পছন্দের ছিল এই জিন্সের প্যান্ট। সেই সময় ঘড়ি হাতে পড়া হতো না বরং চেইন দিয়ে ঝোলানো ঘড়ি ব্যবহার করা হতো। যা রাখা হতো পকেটে। জামার পকেটে ঘড়ি রাখতে গিয়ে অনেক সময় অসাবধানতাবশত তা ভেঙ্গে যেত।
তাই সেই সময় জিন্সের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল সেই ছোট্ট পকেট। প্যান্টের সামনের দিকে বড় পকেটের মধ্যেই ছোট্ট পকেটটি রাখা হতো। কাউ বয়রা নিজেদের বেল্টের সঙ্গে ঘড়ির চেইনটিকে আটকে নিতেন আর ঘড়িটি ঢুকিয়ে রাখতেন ছোট্ট পকেটের মধ্যে। কিন্তু কালের নিয়মে প্রচলন হল হাত ঘড়ির। যখন হাতঘড়ি সস্তা হল সেটি জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁলো । তারপর থেকে ধীরে ধীরে ওই ছোট্ট পকেট ঘড়ি বা চেইন ঘড়ির ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আর বাজারে ওই ধরনের ঘড়ি ব্যবহারের জন্য কিনতে পাওয়া যায় না। বরং অ্যান্টিক পিস হিসেবে আপনি সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু ঘড়ি না থাকলেও জিন্সের প্যান্ট এখনও ঐতিহ্য বজায় রেখে বাঁচিয়ে রেখেছে ছোট্ট পকেটটি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম