।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতের আকাশ লোহার প্রটেকশনে ঢেকে যাচ্ছে। পাকিস্তানের এক একটা মিশাইলকে গিলে খাওয়া শুরু হবে। ভারত বড় বৈঠকে বসছে রাশিয়ার সঙ্গে এই দেশের মাটিতেই। সীমান্তে এতটা প্রটেকশন কেন হঠাৎ করে? স্থলসুরক্ষা থেকে ভারতের মেন টার্গেট সিফট হচ্ছে যাচ্ছে আকাশ সুরক্ষায়? ভারতের সামনে কি কোনওবড়সড় হুমকি রয়েছে? পাকিস্তানের তরফ থেকে নাকি আবারও চীন ভিলেন? যে খবর কোনওভাবেই প্রকাশ্যে আনতে চাওয়া হচ্ছে না। ২৪ ঘন্টায় দুটো খবরের হেডলাইনের ইঙ্গিত একেবারে সেদিকেই ভারত পাকিস্তান-চীন সীমান্তে মোতায়েন করে ফেলল রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম S 400। একেবারে রেডি করে ফেলা হয়েছে তিন ইউনিট S-400। একবার অ্যাকশন বললেই খেলা শুরু করে দেবে এই ব্রহ্মাস্ত্র। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাঝেই পাকিস্তানকে বড়সড় হুঁশিয়ারি দিতেই কি সীমান্তে এত বড় অ্যাকশন নিল দিল্লি? কিন্তু রাশিয়া কি ভারতকে দেওয়া কথা রাখল না?
S-400 চুক্তির সময়ে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মস্কো তাতে এত ডিলে হচ্ছে কেন? দেশের সুরক্ষা নিয়ে যেহেতু কোনও আপস নয় সেজন্য এবার ভারত নিতে চলেছে বড়সড় স্টেপ? সেটা কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নাকি? ধৈর্য ধরুন অবশ্যই জানাবো। ভারতের গোয়েন্দা সূত্র বলছে বেশ কয়েকমাস ধরে পাকিস্তান S-400কে বোকা বানানোর পন্থা খুঁজছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান বেশ মিশাইল টেস্ট করছে কিন্তু তাতে বিশেষ একটা লাভ হচ্ছে বলে মনে করছেন না প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। কারণ খেলা তখনই ঘুরেছে যখন আমেরিকা চীনের ৩ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে দিয়েছে যারা পাকিস্তানকে মিশাইল পরীক্ষা করার সরঞ্জাম পাঠাতো। এর মানে সোজা কথায় S-400কে বরবাদ করার স্বপ্ন দেখা পাকিস্তান নিজে তো ডুবলই তার সঙ্গে চীনকেও নিয়ে ডুবল, কিন্তু ইসলামাবাদ কি আর এত সহজে হার মানবে।
শোনা যাচ্ছে S-400এর মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তান তাদের বায়ুসেনার পাইলটদের রীতিমত ট্রেনিং দিচ্ছে। আর এই ট্রেনিংয়ে পাকিস্তান ব্যবহার করছে চীনের লড়াকু বিমান জেএফ ১৭ ও জে১ওসি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এরাও S-400কে ট্র্যাক করতে রীতিমত ব্যর্থ। প্রতিরক্ষামহলের দাবি S-400কে ধ্বংস করতে হলে ৪০০ কিমি দূর থেকে হামলা করতে হবে। একবার যদি কোনওভাবে এর সীমা পাকিস্তানের মিশাইল ঢুকে যায় এদের গিলে খাবে S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এবার ভারত রাশিয়ার সঙ্গে বসতে চলেছে মিটিংয়ে চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা হয়েছে। বাকি দুটি স্কোয়াড্রন কবে পাঠানো হবে তা নিয়ে শীঘ্রই রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন ভারতীয় আধিকারিকরা। কবে ওই দুটি স্কোয়াড্রন ভারতের হাতে আসবে তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। তবে পাকিস্তানকে সায়েস্তা করতে যে তিনটি ইউনিটই কাফি এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম