ভারতের হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আম্বানিকে! বাজি রেখে ঘুরল জীবন

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের এক সামান্য ডাক্তারের সম্পত্তি ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আম্বানিকে। কে এই চিকিৎসক যিনি টেক্কা দিচ্ছেন আদানি-আম্বানিদের? তাও আবার অ্যালোপ্যাথি নয় হোমিওপ্যাথিতেই কামাল। বাজি ধরেই ঘুরেছিল জীবনের মোড়। একজন সামান্য হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সম্পত্তি নাকি ১.৪ বিলিয়নের। কোন কালো টাকার খেলা নেই এখানে। কে এই ব্যক্তি যিনি তাক লাগিয়ে দিচ্ছে ভারতের বিলিয়নিয়রদের। কোন ব্যবসায়িক ডিগ্রি ছাড়াই তিনি গড়ে ফেলেছেন বিশাল এক সাম্রাজ্য।

জুপল্লী রামেশ্বর রাও খুব কমই নাম শুনে থাকবেন এনার কিন্তু এনার ম্যাজিক পৌঁছে গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও। জুপল্লী রামেশ্বর রাও বর্তমানে ১১,৪০০ কোটি টাকারও (১.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি সম্পদের মালিক। হায়দরাবাদে স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি রামানুজাচার্যের যে মূর্তি রয়েছে তার জন্য শিল্পপতি জুপল্লী রামেশ্বর রাওই জমি দান করেছিলেন। এই মূর্তির উদ্বোধন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামেশ্বর রাও উত্থান এত সহজ ছিল না। হায়দরাবাদের জুপল্লীর কৃষক পরিবারের ছেলে রামেশ্বর রাওকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের জন্যয়কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হত। ছোট থেকেই বড় কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি, তবে সেই সুযোগ না থাকায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হওয়ার পেশা বেছে নেন রামেশ্বর রাও।

হায়দরাবাদের দিলসুখ নগরে তাঁর হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক শুরু করেন রামেশ্বর, তবে আশির দশকে রিয়েল এস্টেটে আগ্রহী রামেশ্বরকে তাঁর হোমিওপ্যাথি ক্লায়েন্টরা একটা সুযোগ করে দেন। একটি জমির উপর ৫০,০০০ টাকার বাজি ধরার ফলে রাওয়ের সাফল্যের গতিপথে রাতারাতি পরিবর্তন আসে। মাত্র তিন বছরে তিনি তার বিনিয়োগের তিনগুণ রিটার্ন পেয়ে যা যা তাঁকে নয়া সম্ভাবনার লক্ষ্য দেখায়। ব্যস ভাগ্য অন্য পথে মোড় নিতেই রাও রিয়েল এস্টেটে সময় দেওয়ার জন্য হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিস ছেড়ে দেন। ১৯৮১ তিনি তার প্রথম সংস্থা মাই হোম কনস্ট্রাকশন শুরু করেছিলেন।

পরবর্তী কয়েক দশকে রাও শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে আসেন। রেসিডেন্সিয়াল সোসাইটি থেকে শুরু করে কমার্শিয়াল বিল্ডিং নির্মাণ রাও তাঁর ব্যবসা সিমেন্ট উৎপাদন পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। মহা সিমেন্ট দক্ষিণ ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। যার বার্ষিক টার্নওভার ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি। জুলপল্লী রামেশ্বর রাও ‘মাই হোমস’ গ্রুপেরও মালিক। দক্ষিণ ভারতে এনাকে চেনে না এমন মানুষ কমই রয়েছে৷ বলতে পারেন হায়দরবাদে আম্বানি হলেন রামেশ্বর রাও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version