Onion Price: বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের কন্ট্রোলে ? একটা স্টেপ, ঘুরে গেল বাজার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Onion Price: রাতারাতি বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার ঘুরিয়ে দিল ভারতের একটা স্টেপ। ভারত এক্সপোর্টে ব্যারিকেড দিতেই, বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। আবার কি পেঁয়াজের দামে চোখের জল ঝড়বে বাংলাদেশীদের? ওপার বাংলায় ভারতের পেঁয়াজই কি শেষ ভরসা? নির্বাচনের আগে পেয়াঁজের দামে লাগাম টানাই হাসিনা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বৃষ্টিই ঘুরিয়ে দিল অঙ্ক। বন্ধু না দেশ, ব্যালেন্সের স্ট্র্যাটেজি নেবে মোদী সরকার?বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার গরম। পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ভারত, আর পোয়াবারো বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশে পেঁয়াজে কি সত্যিই হাত দেওয়াই দুষ্কর? আসল ফ্যাক্টটা জানেন?

যে দেশী পেঁয়াজ সকালে খুচরো পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির পরে সেই পেঁয়াজ বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার ওপরে এটাই ফ্যাক্ট। ঢাকা সহ ওপার বাংলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। যে পেঁয়াজ সকালে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১৫ টাকায়, ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির খবরে সেটাই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। পাশাপাশি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এই কারণেই নতুন করে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। কিন্তু কেন হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞাপন জারি করলো ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক?

জানা গিয়েছে, অসময়ের বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা করে বেড়েছে। তাই ভারতের মধ্যে পেঁয়াজ সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে রফতানি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সময়সীমা ৩ মাস বাড়িয়েছে মোদী সরকার। আর, সেই প্রভাবই পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। যদিও, ওপার বাংলা এখনও আশায় বুক বাঁধছে। মনে করছেন তুন পেঁয়াজ পুরোদমে ওঠা শুরু হলে দাম কমে যাবে। এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক। পেঁয়াজের এই আগুন বাজার কন্ট্রোলে হাসিনা সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ চাইছেন বাংলাদেশীদের একাংশ। তাদের দাবি, ভারতের পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞাকে ইস্যু করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই সিন্ডিকেট তড়িঘড়ি না ভাঙলে আবারও ৩০০ টাকা ছাড়াতে পারে দাম। তাহলে কি সেই কথা মাথায় রেখেই বন্ধুদেশের জন্য সুযোগ রেখেছে ভারত?

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও শর্তসাপেক্ষে পেঁয়াজ রপ্তানির একটি সুযোগ রেখেছে ভারত সরকার। ডিরেক্টরেট অব ফরেন ট্রেডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনো দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। আবার আমদানি করতে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দেশও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে পারবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য একটা অপশন কিন্তু থাকছেই। জানিয়ে রাখি, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আগেই রফতানির মূল্য বাড়িয়েছিল ভারত। পেঁয়াজের রফতানি শুল্কও বাড়ানো হয়। গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার করা হয়। পরে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। আর এবার সেই মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হলো। মনে করিয়ে দিই, গত বছর ভারত কয়েক ঘণ্টার নোটিসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

সেটাই তো স্বাভাবিক, কারণ বাংলাদেশের চাহিদার ৪০-৪৫ শতাংশই মেটায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। সেই সময়ে দুই দেশ আলোচনা করে ঠিক করে, যে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাংলাদেশে যায়, সেগুলো রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলেও পড়শি দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। কারণ, এর আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে ভারতের সিদ্ধান্তে বড়সড়ো এফেক্ট পড়ে যায় বাংলাদেশের পেঁয়াজ বাজারে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল ভারত ছাড়াও আরো নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বাংলাদেশে। তালিকায় রয়েছে চীন, মিশর,তুরস্ক, পাকিস্তান কাতার সহ ৯ দেশ। কিন্তু তারপরেও পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি থামছেই না। ফলে বাধ্য হয়ে ভারতের পেঁয়াজই বাংলাদেশের কাছে শেষ ভরসা হয়েই থেকে যাচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version