G 20 Meeting: কাশ্মীর নিয়ে চিনকে সতর্ক করল ভারত! জি২০ বৈঠকের আগে নয়া বিতর্ক, বয়কট করল বেজিং

।। প্রথম কলকাতা ।।

G 20 Meeting: কাশ্মীর নিয়ে চিনের হঠাৎ চরম বিরোধিতা, বয়কট করা হল সম্প্রতি চিনের বড় উপকার করেছে ভারতীয় নেভি তারপরও এমন বয়ান? চিনকে উস্কে দিতে পাকিস্তানের ভূমিকা কতটা? বিশ্লেষণ প্রয়োজন যা ঠিক করা হয়েছে সেটাই হবে স্পষ্ট জবাব নয়া দিল্লির। বিরোধিতা, উস্কানি বা হয়ত তার থেকে বড় কিছু মুখোমুখি হতে হবে, ভারত জানত জি২০ বৈঠকে কেন হচ্ছে কাশ্মীরে। পাকিস্তানের তীব্র আপত্তির পর এবার চিনের তোপ শুরু। শুধু মুখেই কথা হল নাকি অন্য পথ বাছল বেজিং?

অরুনাচলের পর এবার কাশ্মীর৷ বিতর্ক অঞ্চল নিয়ে বিতর্ক এলাকা নিয়ে কিন্তু কাশ্মীরে জি২০ বৈঠক হলে তাতে বেজিংয়ের সমস্যাটা ঠিক কোথায়? এনডিটিভির রিপোর্ট বলছে শুক্রবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন কোনও বিতর্কিত জায়গায় জি২০ বৈঠক আয়োজন করার সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করছে চিন। এখানেই শেষ নয় একইসঙ্গে জানানো হয় এই বৈঠকে চিনের কোনও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন না। অনেকেই বলছেন এই তো দু দিন আগে ভারতের কাছে সাহায্য চেয়েছিল চিন, বলতে পারেন একপ্রকার বাধ্য হয়েই চাইতে হয়েছিল। ভারত কিন্তু হাত গুটিয়ে নেয়নি যথাসাধ্য সাহায্য করেছে ইন্ডিয়ান নেভি। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে ৩৯ জন ক্রু সদস্য-সহ ‘লু পেং ইউয়ান ইউ ০২৮’ নামে একটি চিনা মাছ ধরার জাহাজ ডুবে যায়। শুধু ভারত নয় শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়াকেও অনুরোধ করে বেজিং এই জাহাজ খুঁজে দিতে। ভারতীয় নৌসেনা সেই কাজটাই করে দেখায়৷ কিন্তু তারপরই এবার জি২০ নিয়ে সটান মন্তব্য করে দিল বেজিং৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাকে একটা ছোট প্রতিশোধ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। অরুনাচলের ক্ষেত্রেও জি২০ বৈঠকে চিনের কোনও প্রতিনিধি অংশ নেয়নি
আর এক্ষেত্রেও নেবে না। নেপথ্যে কিন্তু ভূমিকা থাকতে পারে পাকিস্তানের। হ্যাঁ, প্রায় ৮০ শতাংশ এই প্রেডিকশন করা যেতেই পারে৷ কূটনৈতিক সূত্রে খবর বিদেশ মন্ত্রকের একাংশ মনে করছেন কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে বার বার নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। ‘মিত্র দেশ’ হিসাবে ভারতের প্রতি পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলনই দেখা গিয়েছে বেজিংয়ের ভূমিকায়।

তবে ভারত আগেও স্পষ্ট কথা বলেছিল এবারও বলে দিল৷। জি২০ বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসাবে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করবে নয়াদিল্লি। কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে যাতে কোনওরকম বিপত্তি না দেখা যায় এই জি ২০ বৈঠক ঘিরে৷ কাশ্মীরে সফলভাবে এই বৈঠক হলে কূটনৈতিকভাবে এটা ভারতের বড় জয়ই ধরে নেওয়া হবে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version