ভারত-পাকিস্তানের এই যুদ্ধ অনিবার্য ? ভয়ঙ্কর পরিণাম, সিক্রেট ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত বনাম পাকিস্তান! নিউক্লিয়ার যুদ্ধের পরিনামটা ভেবে দেখেছেন কোনোদিন? সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি? তলে তলে পরমাণু অস্ত্রের জাল বিছাচ্ছে পাকিস্তান। কিছুই ভারতের নজর এড়াচ্ছে না। দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে দাঁড়িয়েও দমছে না ইসলামাবাদ। কোথায় পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে? সিক্রেট ফাঁস। আর, ভারত কী করছে জানেন? কনফিডেন্সিয়াল, কাক-পক্ষীতেও টের পাবেনা, শুধু ধামাকা হবে। অর্থনীতিতে মন নেই। তার বদলে পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বাড়ানোর দিকে নজর পাক ফৌজের। সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। চরম আর্থিক সংকট, দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে দেশটা, ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না মানুষগুলো। অথচ পরমাণু অস্ত্রাগারকে শক্তিশালী করছে পাকিস্তান। পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নত ডেলিভারি সিস্টেম ও একাধিক ওয়ারহেড সম্বলিত পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে ইসলামাবাদ।

এর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও সংগ্রহ করার কাজ চলছে জোরকদমে। রকেট লঞ্চার রাখার জন্য নতুন জায়গাও তৈরি করা হয়েছে বলছে মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের রিপোর্ট। আগেও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এক গবেষণায় উঠে এসেছিল ভারত পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ভয়ানক পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল বিবিসির ওই রিপোর্টে, কিন্তু ১৯৯৯ সালের নো ফার্স্ট ইউজ নীতি অনুযায়ী ভারত কোনও সময়ই প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের পক্ষে নয়। ভারতের কাছেও রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র যাতে কুপোকাত হতে পারে পাকিস্তান। এমনকি, পাকিস্তান ভারতের অগ্নি ৫ মিসাইলের রেঞ্জে রয়েছে কয়েক সেকেন্ডে ধূলিস্মাৎ হতে পারে পুরো পাকিস্তান। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভারত পাকিস্তানের সমস্ত শহরকে টার্গেট করতে পারে। ভারত যদি পাকিস্তানের ওপর পারমাণবিক বোমা ফেলে তাহলে তা রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, ইসলামাবাদ, নভশেরা এবং করাচি শহরগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের মতে, পাকিস্তানের কাছে এবং ভারতের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় এক। তাই, আগ বাড়িয়ে এগিয়ে এলে বড় ভুল করবে ইসলামাবাদ। ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু পাকিস্তান এর পুরো বিষয়টার দিকে কড়া নজর রাখছে। পাকিস্তানের পরমাণু হাতিয়ার যাতে কোনভাবেই জঙ্গিদের হাতে না পড়ে, সেটাই নজরে রাখছে আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে স্যাটেলাইটের পাঠানো পাক ফৌজ ও বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলির ছবি ঘন ঘন খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে ওয়াশিংটন। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই স্যাটেলাইট ইমেজেই বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে পাক সেনাকে একাধিক নতুন লঞ্চার নিয়ে আসতে দেখা গেছে। লঞ্চারগুলো দিয়ে পরমাণু মিসাইল হামলা করা যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও, স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে পাকিস্তানের ৫টি ঘাঁটি। আর্কো আউটপস্ট, যেটি ভারতের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪৫ কিমি দূরে অবস্থিত। গুজরানওয়ালা পোস্ট, যেটি প্রায় ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত। খুজদার পোস্ট ভারতের সীমান্ত থেকে সব চেয়ে দূরে অবস্থিত।

পানো আকিল পোস্ট, যেটি ৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত। পঞ্চম পাকিস্তানি ঘাঁটি যেটা কিরানা পাহাড়ে অবস্থিত, নাম সারগোধা পোস্ট। এছাড়াও পাকিস্তানের হাতে রয়েছে গত কয়েক বছরে তৈরি করা ঘোরি, গজনভি, শাহিন, নাসর ক্ষেপণাস্ত্র। যা পারমাণবিক হাতিয়ার বহণে সক্ষম। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে আফগানিস্তানের। আফিগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়েছে পাকিস্তানের। তোরখাম সীমান্তে প্রায়ই চলছে গোলা-গুলি। সেখানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা TTP জঙ্গিরা একরকম যুদ্ধই ঘোষণা করেছে। বাধ্য হয়ে অন্যতম ব্যস্ত এই সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে ইসলামাবাদ। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তাধ সঙ্গে ফের যুদ্ধে জড়াতে পারে। ফলে ইসলামাবাদের পরমাণু হাতিয়ার বৃদ্ধির উপর নজর রাখছেন ভারতের সেনা কর্তারাও। সময় সুযোগ এলে পাকিস্তানকে নিজেদের অকাত বুঝিয়ে দিতে জানে ভারত। জানিয়ে রাখি ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান পারমানবিক বোমা পরীক্ষা চালিয়েছে। এর পরে ২৫ বছর পার হতে চললো। এর মধ্যে কারগিল যুদ্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেইসময় এবং তার পর থেকে কখনোই পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের কথা ওঠেনি। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াতে পারে সেটা বলবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version