ভয়ঙ্কর সব ফাইটার জেটের মালিক ভারত! লুকোনো কোথায় ? চীন-পাকিস্তান ভয়ে ঘেঁষবেনা

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের হাতে “পাওয়ার প্যাক” ফাইটার জেট। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে যাবে। ড্রাগনদের রক্তচক্ষুকে তুড়ি মেড়ে ওড়াতে এক্সপার্ট মিগ-সুখোই-তেজস-রাফাল। কোন কোন দুর্ধর্ষ যুদ্ধ বিমানের জন্য ভারতকে সমঝে চলে সবাই? ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতায় সিঁটিয়ে থাকে শত্রু দেশ। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের ভরসা কারা? স্বাধীনতার পর থেকেই শক্তি বৃদ্ধিতে ভারতের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। চীন-পাকিস্তানকে ‘এক ঢিলে’ শায়েস্তা করা ভারতের জন্য জলভাত। ইন্ডিয়ান আর্মি, নৌসেনার সাথে সাথে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স, শত্রু দমনে যথেষ্ট পারদর্শী। ভারে-বহরে ভারতীয় বায়ু সেনা বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ। হাতে রয়েছে খতরনাক সব যুদ্ধ বিমান।

দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত যুদ্ধবিমান রাফাল। ভারত ছাড়াও ফ্রান্স ও কাতারের বায়ুসেনা এই ঘাতক যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে। ফ্রান্সের সংস্থা দাঁসো থেকে এই বিমান কেনে ভারত। রাফাল ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। এতে ব্যবহৃত টুইন ইঞ্জিন প্রযুক্তি লড়াই বা পারমাণবিক যুদ্ধের সময় বিশেষভাবে কার্যকরী। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন শক্তিধর মানদণ্ডের যুদ্ধবিমান এশিয়ার খুব কম দেশেই আছে।

এছাড়াও ভারতের হাতে রয়েছে মিগ-২৯-এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান। এটা চতুর্থ জেনারেশনের সুপারসনিক জেট ফাইটার। যে যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারক সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই যুদ্ধবিমান সকল প্রকার আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী। তেজস ও কম যায়না! এই যুদ্ধবিমান বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম। দৃশ্যমানতা ছাড়িয়েও মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে এই ফাইটার জেট। কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এই যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তিযুক্ত সুখোই ২০০২ সালে ভারতে আসে। দেশের গর্ব, শত্রুদের স্বপ্ন সুখোই। যুদ্ধে প্রসিদ্ধ সুখোই ৩০ এমকেআই ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য যৌথভাবে তৈরি করে রাশিয়ার ‘সুখোই ডিজাইন ব্যুরো’ ও ভারতে ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক লিমিটেড’।

রাফাল হাতে আসার আগে এটাই ছিল সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান। নিমেষের মধ্যে ধুলো করে দিতে পারে আকাশ বা মাটিতে থাকা শত্রু শিবিরকে। আকাশে শত্রু বিমানের সঙ্গে মোকাবিলাতেও জুড়ি মেলা ভার। এই বিমানে লাগানো হয়েছে রকেট, মিসাইল ছাড়াও শক্তিশালী জিপিএস, রাডার। আকাশপথে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক হাতিয়ার মিরাজ ২০০০। এই যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ফ্রান্সের ‘ডাসল্ট এভিয়েশন’। ফ্রান্সের বিমানবাহিনীতে মিরাজ যুক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। পাকিস্তান আটের দশকের শুরুতে আমেরিকার থেকে এফ-১৬ ‘ফাইটার জেট’ কেনে। আকাশপথে নিজেদের সমরসজ্জা আরও দুর্ভেদ্য করতে ৪০ টি মিরাজ যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। মিরাজ বিমান ব্যবহার করে খুবই হাল্কা ‘সিঙ্গল শ্যাফ্ট ইঞ্জিন’।

মনে করিয়ে দিই, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাতে ১২ টি মিরাজ ২০০০ ই যথেষ্ট ছিল জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে। ২৪৯৫ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টার গতিতে ছুটে চলা এই বিমান ৩০ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ তোপ বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম। সঙ্গে ৫৩০ ডি মিডিয়াম রেঞ্জ দুটি ৫৫০ ম্যাজিক মিসাইল সঙ্গে রাখতে পারে এই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে জাগুয়ার শমসের সহ একাধিক পাওয়ারফুল ফাইটার জেট। পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। স্বাধীনতার পর থেকেই ক্রমশ নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে আসছে ইন্ডিয়ান আর্মি। যে দেশের কাছের যত বেশি সামরিক সরঞ্জাম সেই দেশের দিকে তাকানোর আগে দু’বার ভাবে শত্রুপক্ষ। তাই, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে এখনও সামরিক সরঞ্জাম বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version