বাংলাদেশের প্রশংসা করছে ভারত! দিল্লিতে আসবেন শেখ হাসিনা, চালু হবে একগুচ্ছ প্রকল্প

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত প্রশংসা করছে বাংলাদেশের। একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা আর সম্ভাবনা নিয়ে সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে আসবেন শেখ হাসিনা। চালু হবে নতুন প্রকল্প। সুবিধা মিলবে দুই দেশের। ভারতের কাছে বাংলাদেশ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? দুই দেশের মধ্যে কিসের এত আত্মীয়তা? বাংলাদেশের ঠিক কোন কোন প্রকল্পে সাহায্য করছে ভারত? পূরণ হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন। গোটা বিশ্বে নজির গড়বে দুই দেশের বন্ধুত্ব।

সেপ্টেম্বরে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সফরে আসবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভীষণভাবে গুরুত্ব পেতে চলেছে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষই সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ যেভাবে স্মার্ট রূপে গড়ে উঠছে তার প্রশংসা করেন প্রণয় ভার্মা।

একটু খেয়াল করে দেখুন, শেখ হাসিনা আর নরেন্দ্র মোদীর সময়, দুই দেশের সম্পর্ক উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। কয়েকদিন আগেই, বাণিজ্যিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে বাণিজ্য শুরু হয়েছে রুপিতে। পরিকল্পনা রয়েছে, কিছুদিন পর বাংলাদেশী টাকাতেও বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রামপালে চালু হবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ২ এবং বাংলাদেশের ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিঙ্ক। যা বাস্তবায়িত হয়েছে ভারতীয় এলওসি অর্থাৎ লাইন অফ ক্রেডিটের অধীনে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত রেলওয়ে লিঙ্ক বাস্তবায়িত হয়েছে ভারতীয় অনুদানে। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন হবে। এখানেই থেমে নেই, খুব শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে চালু হবে রুপি কার্ড আর টাকা কার্ড। যা সাধারণ মানুষের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। এই কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হবে খুব সহজে। ক্যাশ টাকার প্রয়োজন নেই। হাতে কার্ড থাকলেই যথেষ্ট। বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারতে আসেন আবার ভারত থেকেও বহু মানুষ বাংলাদেশে যান । সেক্ষেত্রে রূপি টাকায় কিংবা টাকা রুপিতে কনভার্ট করার আর ঝঞ্ঝাট থাকবে না। বাংলাদেশের লক্ষ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, তাই টার্গেটে রয়েছে ভিশন ২০৪১ উন্নয়ন পরিকল্পনা।

ভারতের গ্রিডের মাধ্যমে অর্থাৎ ভারতের উপর দিয়ে নেপাল আর ভুটান থেকে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশে। এক্ষেত্রে ভারতের কোন অসুবিধা নেই। আলোচনা হতে পারে ভুটানের সঙ্গে। ভারতের মধ্যে দিয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশ পাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, এই পরিকল্পনা বহু দিনের। জুন মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী নয়া দিল্লি সফরে এসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরও করে। নেপাল বহুদিন ধরেই, তার দেশের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারত ছাড়াও বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য মুখিয়ে ছিল। সেই প্রচেষ্টা এবার বাস্তবায়িত হবে। এখানে কে বেশি উপকার পাবে, আর কে কম উপকার পাবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। এই যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কোন অঞ্চল উপকৃত হয়েছে, এটাই প্রকৃত প্রতিবেশী নীতি বলে মনে করছে ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল। এক প্রতিবেশী আরেক প্রতিবেশী পাশে দাঁড়াবে এটাই তো কাম্য। ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে যখনই কোন সমস্যা হয়, তখনই দুই দেশ সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করে। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব গোটা বিশ্বের কাছে অনন্য নজির।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version