।। প্রথম কলকাতা ।।
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভয়ানক মিলিটারি কোন দেশে? যে দেশকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব। ভারতীয় সেনার সঙ্গে পেরে ওঠা সহজ নয়। চিরশত্রু পাক-চীনের চেয়ে কতটা এগিয়ে ভারত? গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার এর রিপোর্টে ১৪৫ দেশের ব়্যাঙ্কিং। কোন কোন বিষয়ের উপরে এই ব়্যাঙ্কিং দেয় জিএফপি? কোন ফর্মুলায় তালিকার এই নম্বরে উঠে এলো ভারত? সন্দেহ নেই, সামরিক শক্তির নিরিখে ভারত ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। সামরিক খাতে সরকারের বরাদ্দ, মিলিটারি পার্সোনেলের সংখ্যা, আকাশ, নৌ এবং সামরিক বাহিনীতে মোট কর্মীর সংখ্যা, তাঁদের গড় বেতন, সামরিক বাহিনীর কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্রের ওজন, অত্যাধুনিক অস্ত্রের উৎপাদন, সব দিক থেকেই ভারতের স্ট্রেন্থ দেখার মতো। কিন্তু অন্তত ৬০টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সামরিক শক্তির ব়্যাঙ্কিং দেওয়া সংস্থা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট বলছে ফের একবার সৈনশক্তির দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তকমা পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থেকে আমেরিকার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে রাশিয়া-চীন। আর ভারত?
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব়্যাঙ্কিংয়ে স্থান অপরিবর্তিত রয়েছে ভারতের। গত বছরের মতো এবারও চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লি। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের জোগান এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বার বার সীমান্ত সংঘাত সেনার শক্তি বৃদ্ধি করেছে। চীনের দাদাগিরি বন্ধ করতে গত কয়েক বছর ধরেই সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। ফলে আগামী দিনে এই দেশ তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে বলে দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।অন্যদিকে, সামরিক শক্তির দিক থেকে গত বছর অষ্টম স্থানে ছিল ব্রিটেন। এবার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে এই দেশ। অন্যদিকে ব়্যাঙ্কিং খারাপ হয়েছে জাপান ও ফ্রান্সের। গত বছরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল জাপান। এবার তিন ধাপ নেমে অষ্টম স্থানে চলে এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র। সপ্তম থেকে নবম স্থানে নেমেছে ফ্রান্সও।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল GFP-র দেওয়া ব়্যাঙ্কিংয়ে ১৫ নম্বরে জায়গা পেয়েছে ইউক্রেন। যাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি প্রথম দশে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তানও। সপ্তম স্থানে রয়েছে পরমাণু শক্তিধর ভারতের প্রতিবেশী এই রাষ্ট্র।এর পাশাপাশি কম শক্তিশালী ১০টি দেশর তালিকাও প্রকাশ করেছে GFP। এর মধ্যে রয়েছে ভুটানের নাম। হিমালয়ের কোলের দেশটি ছাড়াও তালিকায় জায়গা পেয়েছে সোমালিয়া, মলডোভা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও আইসল্যান্ড। কিন্তু, কী কী বিষয়ের উপরে এই ব়্যাঙ্কিং দেয় GFP? এক্ষেত্রে প্রথমে দেখা হয় কোনও দেশের মোট সৈন্য শক্তি। পাশাপাশি, ওই রাষ্ট্রের হাতে থাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অর্থনৈতিক অবস্থাও বিবেচনা করা হয়।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে, দিল্লি বেজিংকে হারিয়েছে কেবলমাত্র একটি জায়গায়। চীনের ওই বিশাল সেনা শেষ বার যুদ্ধ করেছিল আজ থেকে ৪৪ বছর আগে। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধেই লালফৌজের রণকৌশল দেখা গিয়েছিল শেষ বার। তার পর থেকে ৪৪ বছর চিন আর কোনও যুদ্ধ করেনি।অন্য দিকে, ভারত শেষ বার যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, মাত্র ২৪ বছর আগে। কার্গিলের সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনা জয় পেয়েছিল। তখনই ভারতীয় সেনার পারদর্শিতা শেষ বার দেখেছিল দুনিয়া। তাই, যুদ্ধের সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সেনার ক্ষমতা, চিন দিনের পর দিন তার সামরিক শক্তি যতই বাড়িয়ে চলুক না কেন, তারা রণকৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়নি দীর্ঘ ৪৪ বছর। ফলে ভারত এ ক্ষেত্রে চিনের চেয়ে এগিয়ে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম