Chikungunya: ভারত-বাংলাদেশ সেফ ? চিরতরে খতম হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস! বিশ্বজুড়ে কামাল দেখাবে ইক্সচিক

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chikungunya: পৃথিবীর মাটিতে চিরতরে খতম হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস। কার অপেক্ষায় বসে বাংলাদেশ? “ইক্সচিক” এই লুকিয়ে পাহাড় সমান রহস্য! কোন মহাদেশের অতল গহ্বরে চিকুনগুনিয়া ভ্যাকসিনের জন্ম? কোভিড নয়, চিকুনগুনিয়া এপিডেমিক এর চান্স সত্যিই কী জিরো পার্সেন্ট? গেম ওভার! কতদিন অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে? ট্রায়াল রান শেষ, কোথায় পাবেন এই ভ্যাকসিন? ৪০০০ অমূল্য সম্পদেই বড় ভরসা গোটা বিশ্বের। রক্তে রক্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে ভাইরাস। হু হু করে বেড়ে চলেছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর পাশাপাশি মাথাচাড়া দিচ্ছে চিকুনগুনিয়াও। ভারতের পাশাপাশি টেনশন বাড়ছিল বাংলাদেশেও। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে মশাবাহিত পাঁচটা রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানিজ এনসেফালাইটিস উল্লেখযোগ্য। কয়েক বছর আগে বাংলাতেও কম খেল দেখায়নি চিকুনগুনিয়া। আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকাতেও এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। ভয় একটাই, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস প্রতিরোধ করার মতো কোনও অস্ত্রই ছিল না চিকিৎসকদের হাতে।

পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোনোর আগেই, চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ রুখতে সামনে এলো বড় খবর। এবার বাজারে আসতে চলেছে বিশ্বের প্রথম চিকুনগুনিয়া ভ্যাকসিন। চিকুনগুনিয়ার প্রথম ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
‘ইক্সচইক’ নামের এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ইউরোপিয়ান সংস্থা ভালনেভা। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ব্যবহার করেই এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে কোভিডের মতোই গোটা বিশ্বকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিতে ফেলতে পারতো ভাইরাসঘটিত এই রোগ, বলছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। কিন্তু, ইক্সচিক সেই পরিস্থিতিকে আটকে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। চিকুনগুনিয়া হলে কি ঘটে সেটাও জেনে রাখা প্রয়োজন। চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষণ ভালো জ্বর আসে। কিছুটা সিম্পটম সাধারণ ভাইরাল ফিভারের মতো। তবে মাথাব্যথা, বমি ভাব, দুর্বলতা, সর্দি-কাশি, এবং র‌্যাশের সঙ্গে শরীরে হাড়ের জয়েন্টে বা সংযোগস্থলে তীব্র ব্যথা হয়।

মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। এফডিএ জানিয়েছে, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বর্তমানে নতুন নতুন ভৌগলিক লোকেশনে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এই রোগের প্রকোপ বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। তথ্য বলছে গত ১৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে ৫০ লক্ষেরও বেশি চিকুনগুনিয়া রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে “চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সংক্রমণ, গুরুতর এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অন্যান্য অসুস্থ মানুষের জন্য এই রোগ মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চিকুনগুনিয়া মারন রোগ না হলেও, হেলায় ফেলে রাখার মতোও নয়। সেক্ষেত্রে ইক্সিচক ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ নিলেই চলবে। অনুমোদনের আগে, এই ভ্যাকসিনের দুটো ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে মোট ৩৫০০ জন অংশ নিয়েছিলেন।

এই টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে আছে ক্লান্তি ভাব, মাথাব্যথা, পেশী এবং গাঁটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি বমি ভাব। মাত্র ১.৬ শতাংশ টিকাগ্রহণকারীর মধ্যেই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। রোগীদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। এফডিএ-র অনুমোদন পাওয়ার পর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশই এই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।তালিকা যেমন ভারত থাকার চান্স ১০০% তেমনি বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের বারবারান্ত রুখতে তালিকায় থাকতে পারে ওপার বাংলাও। এফডিএ জানিয়েছে, চিকিৎসা জগতে এই ভ্যাকসিনের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। যা পূরণ করবে ইক্সিচক।চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। যা গোটা বিশ্বের জন্য একটা বিরাট বড় পজিটিভ পয়েন্ট।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version