Imran Khan: ক্রিকেটর থেকে কোন জাদুবলে রাজনীতির মসিহা হলেন ইমরান খান? ম্যাজিক-বিতর্ক চিরসঙ্গী

।। প্রথম কলকাতা ।।

Imran Khan: ক্রিকেটর থেকে কীভাবে পাকিস্তানি রাজনীতির মসিহা হলেন ইমরান খান? ক্রিকেটের বিতর্কিত মুখ ইমরান এত মানুষের আস্থাভাজন হলেন কোন ম্যাজিকে? ক্রিকেটে রাজ করার সময় এসেছিল সবথেকে বড় সুযোগ তবে হেলায় হারান বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা ইমরানের রাজনীতির নেপথ্যে কোন ষড়যন্ত্র? গোটা বিশ্বের চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে৷ ইমরান খানের দিকে৷ তাঁকে বাঁচাতে দেশ থেকে বিদেশ পিঁপড়ের মতো গিজগিজ করছেন সমর্থকেরা। কয়েকটা বছরে এত সমর্থন পেলেন কোথা থেকে ইমরান খান? না শুধু জনপ্রিয় ক্রিকেটর ছিলেন বলেই কিন্তু নয় রাজনীতি এক অন্য খেলা খেলেছিল ইমরানের সঙ্গে৷

জানেন এই ইমরানই একসময় সমর্থন দিয়েছিলেন পারভেজ মুশারফের সরকারকে। অবশ্য সেটা রাজনীতির মারপ্যাঁচ না বুঝেই। আর সেই পারভেজ মুশারফই গৃহবন্দি করিয়েছিল তাঁকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ময়দানের প্লেবয় ইমরান খান। রাজনীতিতে নেমেই হাতিয়ার করেছিলেন সবথেকে স্পর্শকাতর ইস্যুকে। সেটা হল ধর্ম। তিনি করেও দেখালেন, প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন পাকিস্তানের৷ তবে নেপথ্যে রয়েছে ২২ বছরের রাজনৈতিক জীবনের দক্ষতা। যদিও মুসলিম প্রধান পরিবারে জন্ম নেবার পরও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলার অভিযোগ ছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। ১৯৯৩ সালের ক্রিকেট থেকে অব অবসর নেন ইমরান। ধারাভাষ্য এবং পত্রিকায় লেখালেখি করে সময় কাটাচ্ছিলেন তখন। নিজের বাসভবন জামান পার্কে একদিন বন্ধুরা মিলে গড়ে ফেলেন নয়া দল ‘জাস্টিস পার্টি’। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে হয় তেহরীক-ই-ইনসাফ।

ইমরান খান ও তাঁর পার্টি তেহেরিক-ই-ইনসাফের ট্রাম্প কার্ড ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা যা পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের মধ্যে চিন্তার খোড়াক সৃষ্টি করে। ‘নয়া পাকিস্তান’ তৈরির ঘোষণা দিয়ে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ইমরান খান আজ তাঁরই লক্ষ লক্ষ সমর্থক পাকিস্তানকে দেখাচ্ছে ইমরানকে উস্কালে কি হতে পারে। পিপলস পার্টির বেনজির ভুট্টোর সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন ইমরান খান। ইসলামাবাদের রাজনীতিতে রয়েছে এমন গুঞ্জনও। তবে ২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর প্রায় পাঁচ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটে ইমরান খানের একটি জনসভায়। শেষবার ১৯৮৬ সালের বেনজির ভুট্টোর একটি জনসভায় নাকি লোকের সমাগম দেখেছিল পাকিস্তান।

ক্রিকেটর থাকাকালীন ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের মুহম্মদ খানের সরকারের পতনের পর জেনারেল জিয়াউল হক ইমরানকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মন্ত্রী হবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব আমন্ত্রণ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। তখন সক্রিয় রাজনীতির র ও জানতেন না ইমরান খান৷ ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেয় তাঁর দল। হাস্যকর হলেও সত্যি, সেবার তার দল আসন পেয়েছিল মাত্র ১টা আসন। অনেকেই মনে করছেন ইমরান খানের এই গ্রেফতারিই হয়ত শাপে বর হতে দাঁড়াতে পারে পাকিস্তানের আগাম নির্বাচনের আগে৷ দেখা যাক জনপ্রিয়তার এই ঝড় কোথায় নিয়ে যায় ইমরান খানকে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version