চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়লে ডেকে দেবে এই যন্ত্র, ভারতীয় রেলের সাফল্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

রাতে প্রচন্ড স্পিডে চলে দূরপাল্লার ট্রেন। লেট হলে মেকআপ দেয় রাতেই। হাওয়ার গতিতে ছুটতে থাকে। ঠিক এই সময় চালকের ঘুমে চোখ লেগে গেলে আসলে কী হতে পারে ভেবে দেখেছেন? অবাস্তব কিছু নয়! মাঝরাতে বা ভোরবেলায় এভাবে চালকের চোখ লেগে গিয়ে রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বহুবার কিন্তু এবার ঘুম পেলে চালককে জাগিয়ে দেবে? চালকদের কোনওভাবে ঝিমুনি আসছে কি না সেটা খেয়াল রাখবে এক বিশেষ যন্ত্র। ট্রেন চালকরা যাতে কোনওভাবে ঘুমিয়ে পড়তে না পারেন তা আটকানোর জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।

প্রচন্ড কষ্টের কাজ! লাইনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঝিঁমুনি এসে যায় চালকের। তখন চালক সিগন্যাল দেখতে পান না। ঘুমের নেশায় সিগন্যালের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। যে লাইনে ট্রেন যাওয়ার কথা সেই লাইনে ট্রেন না গিয়ে অন্য লাইনে চলে যায়। সিগন্যাল লাল থাকলেও অন্য লাইনে যেতেই উল্টো দিক থেকে আসা ট্রেনের সাথে মুখোমুখি সর্ঘষ। তখন কেউ আটকাতে পারে না। কিছুদিন আগেই বাঁকুড়াতেই ঘটেছে এমন ঘটনা। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুছড়ে যায় দুটো ট্রেন। রেল সূত্রের খবর চালকদের কোনওভাবে ঝিমুনি আসছে কি না সেটা খেয়াল এবার রাখবে এক যন্ত্র। ঝিঁমুনি এলেই অ্যালার্ম বাজিয়ে দেবে এই ডিভাইস। সেই সঙ্গেই এমার্জেন্সি ব্রেকও চেপে ধরা হবে। নাম দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে ড্রাইভার অ্যাসিসটেন্স সিস্টেম।

এর জন্যও AI -র সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অ্যালার্মটি ১৭ সেকেন্ডের মধ্যে পাইলটদের বন্ধ করতে হবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। যদি এমনটা না করা হয় তাহলে ট্রেনটি নিজে থেকে থামতে শুরু করবে এই তথ্য কন্ট্রোলরুমে চলে যাবে। তারা কল করে চালককে সতর্ক করবে। রাতে আপনি ট্রেনের ভিতর ঘুমিয়ে। ড্রাইভার রুমে কী ঘটছে টের পাচ্ছে না। রাতে ট্রেনের স্পিড বেড়ে যায়। অনেকে আবার আতঙ্কে থাকেন। এবার সেই ভয় অনকেটাই কমবে। প্রাথমিকভাবে ২০টি মালগাড়িতে এই ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা হবে। এরপর দেখা হবে এটা কতটা কাজ করছে। যদি এই প্রকল্প সফল হয় তবে একে একে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন ট্রেনে বসানো হবে।

এই ধরনের যন্ত্র একটা আলাদা সুরক্ষার ব্যবস্থা দেবে। কারণ রাতের দিকে যে ট্রেন চলে সেখানে কোনও চালকের যদি ঘুম এসে যায় তবে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। আপাতত এই ডিভাইস প্রাথমিকস্তরে রয়েছে। তবে একবার এই যন্ত্র পুরোপুরি তৈরি হলে সেটার মহড়া করা হবে। চলন্ত ট্রেনে লোকো পাইলট ঘুমিয়ে যান বা শরীর খারাপ করলে তখন সহকারী লোকো পাইলট ট্রেনের দায়িত্ব নেন। একটু ভেবে দেখুন যদি দুজন পাইলট ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে কি হতে পারে। সেই বিপদ রুখতেই রেলের এই ভাবনা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version