।। প্রথম কলকাতা ।।
Whiskey: সুরাপ্রেমীদের প্রিয় পানীয় ফ্যাক্টরিতে কীভাবে বানানো হয়? আপনিও চাইলে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন হুইস্কি (Whiskey)। মদ্যপান শরীরের জন্য ভালো না খারাপ এই নিয়ে চর্চা চলতেই থাকবে। মদ্যপান যে শরীরের জন্য খারাপ তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। তবে এমন কিছু কিছু অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় রয়েছে যা শরীরের জন্য বেশ ভালো। দেশ বিদেশে হুইস্কির (Whiskey) তীব্র জনপ্রিয়তা আর চাহিদা বলে দেয় এই পানীয়র প্রতি বিশ্ববাসী কতটা আকৃষ্ট। হুইস্কি (Whiskey) কিভাবে ফ্যাক্টরিতে বানানো হয় এই নিয়ে কমবেশি অনেকের কৌতূহল রয়েছে। এই প্রতিবেদনে প্রত্যেকটি স্টেপ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখানো হল। আপনি চাইলে বাড়িতেও হুইস্কি বানাতে পারেন। হুইস্কি বানানো এক্কেবারে কঠিন কাজ নয়। গত দু’বছরে করোনা আবহে চারিদিকে রব উঠেছিল, বাড়িতে মদ তৈরির নানান পদ্ধতি নিয়ে।
হুইস্কি বানানোর বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের নিজস্ব সিক্রেট ব্যবহার করে। প্রথমে হুইস্কির কাঁচামাল জমি থেকে গাড়িতে করে চলে যায় ফ্যাক্টরিতে। হুইস্কির মূল কাঁচামাল যব, গম আর ভুট্টা। ফ্যাক্টরির মধ্যে বড় বড় পাত্রে ১২ ঘন্টা শস্য ভালোভাবে জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। ১২ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার পর শস্যগুলিকে তুলে স্পেশালভাবে তৈরি একটি বিশেষ জলে প্রায় ১৪ ঘন্টার জন্য আবার ঢোবানো হয়। শস্য শোকানোর জন্য ১৪ ঘণ্টা পর বড় একটি হল ঘরের মেঝেতে শুকাতে দেওয়া হয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হল ঘরের মেঝেতে ওই ভাবেই জিনিসগুলি পড়ে থাকে। তারপর শস্য দানা একটা বড় পাত্রে রেখে তার মধ্যে বিশেষ পাইপের মাধ্যমে প্রচুর ধোঁয়া দেওয়া হয়। এমন ভাবে ধোঁয়া দেওয়া হয়, যাতে শস্যের দানার মধ্যে ধোঁয়া ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এই পদ্ধতি হুইস্কি বানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে হুইস্কিতে স্মোকি ফ্লেভার আসে। এই ভাবে দুইদিন কেটে যাওয়ার পর ওই শস্য গুলিকে গ্রাইন্ডার মেশিনে দিয়ে ভালোভাবে পেষাই করা হয়, তারপর ভালোভাবে পচিয়ে নেওয়ার জন্য একটি পাত্রে রাখা হয়। যাকে বলা হয় ফারমেন্টিং প্রসেস। এই প্রসেসে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে মেশানো হয় ইস্টের জল। দুই দিন ফারমেন্টিং প্রসেসের পর বিশেষ নলের মাধ্যমে হুইস্কি বোতল জাত করা হয়। যা চলে যায় সরাসরি বাজারে। নরমাল হুইস্কির সঙ্গে স্কচ হুইস্কির কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। স্কচ হুইস্কি মূলত তৈরি হওয়ার পর তিন বছর পর্যন্ত স্টোর করে রাখা হয়। তিন বছর পর সেই হুইস্কি স্কচ নামে বাজারে বিক্রি হয়।
হুইস্কি কে বলা হয় water of life। এর নাম শুনলেই অনেকের মনে আনন্দের ফোয়ারা বয়। অতিরিক্ত হুইস্কি শরীরের জন্য যে কতটা মারাত্মক ক্ষতি তা কম বেশি সবাই জানেন। তবে জানেন কি, হুইস্কির মধ্যেও বেশ কিছু ভালো গুণ রয়েছে। দৈনন্দিন সাংসারিক চাপ কিংবা কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে, একটু ভালো ঘুম হতে হুইস্কি বেশ উপকারী। শীত প্রধান দেশে অনেকেই শরীর গরম রাখতে হুইস্কি পান করেন। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আমেরিকার সোসাইটি অফ নিউট্রিশনের গবেষণা অনুযায়ী, হুইস্কি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি পান করলে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রবণতা কমে। পাশাপাশি সর্দি কাশি উপশমে সাহায্য করে এই পানীয়। তবে মনে রাখা জরুরি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। ঠিক তেমন হুইস্কিও ভালো নয়। আসলে কোন জিনিস ঠিক কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে তার ভালো খারাপের ফলাফল। হুইস্কিকে যদি নেশার তালিকায় শামিল করেন, আর রোজ পান করেন তাহলে বিপদ অনিবার্য। বিশেষ করে যারা মদের সঙ্গে সোডা কোক প্রভৃতি মিশিয়ে খান তারা সাবধানে থাকুন। সোডার কার্বন ডাই অক্সাইড খুব দ্রুত মদের সঙ্গে মিশে যায়, এমনকি ফসফরিক অ্যাসিডও থাকে। যা শরীরের হাড় অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম