Banana and Egg: কলা আর ডিম একসাথে খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর? অবশ্যই জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Banana and Egg: শীত মানে পিকনিকের মোরসুম। যেখানে সকালটা শুরু হয় ডিম, কলা আর পাউরুটি দিয়ে। এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা সকালে ব্রেকফাস্টে ডিম কলা রেখে দেন। এটি বেশ প্রচলিত একটি অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত। তবে অনেকেই মনে করেন ডিম-কলা একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে নানান পোস্ট ভাইরাল হতে দেখা যায়। যার কারণে অনেকেই ডিমের সঙ্গে কলা খাবেন কিনা এই নিয়ে বেশ ধন্দে দিয়ে পড়েন। আপনি কি রোজ সকালের ডিম কলা একসাথে খান? কিংবা ডিম কলা খেতে গিয়ে ভয় পান! তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য।

ডিম আর কলা খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। দুধের মতই ডিমে সর্বোচ্চ প্রোটিন রয়েছে। একটি ডিম থেকেই পাওয়া যায় ৭ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৭৫ গ্রাম ক্যালরি ছাড়াও আয়রন, ভিটামিন, খনিজ প্রভৃতি। ডিম আর কলা একসাথে খাওয়া উচিত কিনা এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত সেভাবে যুক্তিসম্মত তথ্য পাওয়া যায়নি। কারণ বাজারে প্যানকেকসহ প্রচুর মুখরোচক খাবার রয়েছে যেখানে ডিম এবং কলার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। দুটোই সুপার ফুড। তবে যাদের অ্যালার্জি কিংবা বদহজমের সমস্যা রয়েছে তাদের বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও অনেকে আছে যারা কিডনির বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কলা এবং ডিম একসাথে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তার মানে এই নয় যে ডিম এবং কলা সবার পক্ষে খাওয়া ক্ষতিকারক। এই দুটি একত্রে কোন বিষাক্ত প্রভাব তৈরি করে না। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটু কলা এড়িয়ে চলতে হয়। আমি অবশ্যই এই দুটি জিনিস খেতে পারবেন, তবে মাঝখানে কিছুটা সময় বিরতি দিন।

এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা ডিমের সঙ্গে খেলে সমস্যা হতে পারে। যেমন ডিমের সঙ্গে চিনি খেলে অ্যামিনো অ্যাসিড নিঃসৃত হয়, যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। অনেকে আবার চায়ের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ কিংবা ডিমের অমলেট খান। এই অভ্যাস থাকলে দ্রুত বদলে ফেলুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি বড় সমস্যা। মাছ এবং ডিম একসঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এর ফলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। দুটি খাবারের মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি রাখতে হবে। অনেকে আবার ডিমের বিভিন্ন পদে লেবু দিয়ে খান। এটিও উচিত নয়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভুলেও ডিমের সঙ্গে চিজ খাবেন না। তাই বলাই যায় ডিম আর কলা পরপর খেলে কোন বিষক্রিয়া হয় না। তবে দিনের পর দিন এই অভ্যাস বজায় রাখলে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি হজমেরও সমস্যা হতে পারে। নিজের শরীর বুঝে তবেই খাবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version