Colouring Fish : রঙিন মাছ চাষের শখ রয়েছে ? বিকল্প আয়ের পথ হতে পারে এটাই

।। প্রথম কলকাতা।।

Colouring Fish : বাঙালির সঙ্গে মাছের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক খাবার পাত থেকে শুরু করে ঘরসজ্জা এমনকি আয়ের উৎস হিসেবেও। মাছ বিক্রি করা একটি ব্যবসা কিন্তু রঙিন মাছ বিক্রি ( Colouring Fish Selling) করা সেই ব্যবসার থেকে অনেক গুণ আলাদা । কারণ রঙিন মাছ খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয় না। এই মাছ কেনা হয় শখের বশে কাজেই শখের দাম লাখ টাকা । রঙিন মাছের ব্যবসা করে যে কোন ব্যবসায়ী আয় করতে পারেন বেশ ভালো রকমের অর্থ ( Profitable) । আর সব থেকে ভালো বিষয় হল এই ব্যবসার ( Business) সঙ্গে অনায়াসে যুক্ত থাকতে পারেন বাড়ির মহিলারাও।

অনেকেই আছেন যারা রঙিন মাছ ভীষণভাবে পছন্দ করেন । নিজের বাড়িতেও এনে রেখেছেন রঙিন মাছ। তাঁরা চাইলে এর মাধ্যমে বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে বার করতে পারেন। এ কথা জানিয়েছেন খোদ মৎস্য আধিকারিকরাই । এর জন্য আপনাকে শুরু করতে হবে রঙিন মাছের চাষ । পাশাপাশি রাখতে হবে রঙিন মাছের খাবার এবং অ্যাকোরিয়াম সহ আনুষাঙ্গিক অন্যান্য জিনিসগুলিও। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে রঙিন মাছের ব্যবসা শুরু করা যায়।

১. রঙিন মাছ চাষের পদ্ধতি :

এর জন্য আপনাকে একটা বড় চৌবাচ্চা তৈরি করে নিতে হবে। যেখানে আলো এবং বাতাস চলাচল করবে। তবে সেই জায়গায় চড়া রোদ থাকলে চলবে না । এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে আপনি চৌবাচ্চার জল এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর পরিষ্কার করতে পারেন । আর অবশ্যই সেই চৌবাচ্চার সঙ্গে এয়ার ব্লোয়ার, ওয়াটার হিটার ,ওয়াটার থার্মোমিটার এবং পিএইচ পেপার রাখা জরুরি । চৌবাচ্চাটি যখন জল দিয়ে পূর্ণ করবেন সেই সময় কয়েক চামচ খাবার লবণ সেই জলে মিশিয়ে দিতে হবে । তবে সরাসরি চৌবাচ্চার মধ্যে নল বাহিত ক্লোরিন মেশানো জল কিংবা পুকুর অথবা টিউবয়েলের জল ঢেলে দেবেন না। দুদিন সেই জল রেখে থিতিয়ে নিতে হবে । আর তারপর ওই জল চৌবাচ্চায় দিতে হবে। তবে রঙিন মাছ চাষ করার জন্য সব থেকে ভালো জায়গা হল ফাইবারের চৌবাচ্চা কিংবা কাঁচের অ্যাকোয়ারিয়াম ( Aquarium)।

মাছগুলির জন্য আপনাকে অ্যাকোয়ারিয়াম বা চৌবাচ্চার ভেতরে একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন শ্যাওলা এবং জলজ বিভিন্ন গাছগুলি। যেগুলি জলের নিচে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। মাছকে নিয়মিত খাবার দিতে হবে এবং পরিমাণ মতো খাবার দিতে হবে । কম খাবার দিলে যদিও বা ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু বেশি খাবার দিয়ে দিলে মাছ পেট ফুলে মরে পর্যন্ত যেতে পারে।

২. প্রশিক্ষণ এবং পরিচর্যা :

আপনার যদি রঙিন মাছ চাষ করার আগ্রহ থাকে কিন্তু তার জন্য আপনি যথাযথ প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ভাবছেন তাহলে তা অবশ্যই অত্যন্ত কাজে আসতে পারে। এক্ষেত্রে কলকাতার সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ এডুকেশনে রঙিন মাছ পালনের প্রশিক্ষণ ( Training) দেওয়া হয়ে থাকে। এক সপ্তাহ থেকে শুরু করে দু-মাস পর্যন্ত এই কোর্স করানো হয়।

রঙিন মাছ চাষ করতে গেলে নিয়মিত তার পরিচর্যা করতে হবে । নইলে মাছে রোগ লেগে যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পাল্টাতে হবে জল । যদি আপনি অ্যাকোরিয়ামের মধ্যে গাছ বসাতে চান তাহলে সেই গাছগুলি বসানোর আগে তাদেরকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যদি দেখেন হঠাৎ করে আপনার কোন মাছ দুর্বল হয়ে গিয়েছে কিংবা তার গায়ে রোগ দেখা দিয়েছে তাহলে তাকে অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে তুলে অবশ্যই আলাদা করুন এবং অন্য পাত্রে রেখে চিকিৎসা করুন।

৩. কী কী ধরনের মাছ চাষ করতে পারেন ?

রঙিন মাছ বহু প্রজাতির হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের হয় । তার মধ্যে থেকে সবথেকে কমন কিছু রঙিন মাছ হল গাপ্পি,মলি, প্ল্যাটি , সোর্ডটেল প্রভৃতি । এগুলি দিয়েই আপনি মাছ চাষ শুরু করতে পারেন। আর তারপর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে গেলে নিজের সংগ্রহে আনুন গোল্ডফিশ, বার্ব টেট্রা, সার্ক, অ্যাঞ্জেল, রেড ক্যাপ, ফাইটার এর মত মাছগুলি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version