Israel-Hamas war: বিষ জলে গলবেনা হামাসের সুড়ঙ্গ! সিক্রেট ফাঁস, ভূমধ্যসাগরেই ক্ষয়ে যাবে ইসরাইল ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Israel-Hamas war: ইসরাইলের বিষ জলে গলবে না হামাসের সুড়ঙ্গ। বড় সিক্রেট ফাঁস। গাজা মেট্রো কি দিয়ে সিল করলো প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী? ভূমধ্যসাগরের নোনাজলেই ক্ষয়ে যাবে আইডিএফ? নেতানিয়াহুর প্ল্যান ডাহা ফেল? হামাসের শকে জোর ঝটকা খাবে আমেরিকা। হামদান ডোজে ভাঙবে ভুল? গাজার মাটিতে এভাবেই কি মিশে যাবে জায়নবাদী সেনারা? মাকড়সার জালের মতো হামাসের সুড়ঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল আইডিএফ।ডুবিয়ে ছাড়বে ইসরাইলি সেনাদের। ভূমধ্যসাগরের নোনাজলেই বিপদ দেখছেন নেতানিয়াহু। বন্যা বোমাও জমে বরফ?

উইকপয়েন্ট ঢাকলো হামাস। গাজার মাটির নীচে হামাসের টানেলগুলো বন্যা প্রতিরোধী! কোন টেকনিক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে ওইসব সুড়ঙ্গ? হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান কি এমনি এমনি এতো কনফিডেন্ট? সাফ বলছেন, হামাসের টানেলে জল ঢেলে কোনো কূলকিনারা করতে পারবে না ইসরায়েলি বাহিনী। মহাবিপদে ইসরাইলি ফোর্স। গাজার মাটিতে আইডিএফের গ্রাউন্ড রেড সাক্সেসফুল হওয়ার পথে সব থেকে বড় বাধা হামাসের সুড়ঙ্গ, এটা জানে গোটা বিশ্ব। গাজার মাটির নীচে বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্কের কারণেই তাদের যোদ্ধারা হামাসকে কাবু করতে পারছে না। তাই বন্ধু আমেরিকার পরামর্শে ইসরাইলের প্ল্যান ছিল, হামাসের সুড়ঙ্গ ফাটিয়ে সাগরের জল ঢুকিয়ে ভেঙে তছনছ করবে গাজার মাটির নীচের ওইসব আস্তানা। ভরসা ছিল ভূমধ্যসাগরের নোনাজল। যে অস্ত্রের মুখে পড়ে টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধারা বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে কিন্তু, টার্গেট ছোঁয়ার আগেই গ্রাউন্ড অপারেশনে বড় ধাক্কা খেল ইসরাইল। এবার কি প্ল্যানটা ভেস্তে যাবে?

হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করবে কয়েকটা বড়সড় পাম্প। উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় এক মাইল উত্তরে কমপক্ষে পাঁচটা পাম্প বসানোও‌ হয়ে‌ গেছে। আর সেই পাম্পের জলের তোড়েই হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক ভাসিয়ে দেওয়ার সূক্ষ্ম ছক জায়নবাদী সেনাদের হাতে। যা কি-না মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হামাসের সব টানেলকে ভাসিয়ে দিতে পারে। পাম্পের নামেই বুক কাঁপছে প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠীর। প্রতিটি পাম্প দিয়ে ভূমধ্যসাগর থেকে ঘণ্টায় কয়েক হাজার ঘন মিটার জল তোলা যাবে। অলরেডি কাজও শুরু করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আর এতেই রিস্ক বাড়ছে গাজার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইল এর এই রহস্যময় প্ল্যানিং গাজায় জল সরবরাহ সিস্টেমকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। তেল আবিব এর সাঙ্ঘাতিক প্ল্যান। আপনি ধরতে পারবেন না। কিন্তু, হামাস হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। তাই হামদান বলছেন রীতিমতো টানেলগুলো দক্ষ ও শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ‌।

যেগুলো বন্যায় ভাসিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সকল ধরনের আক্রমণের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে।জানিয়ে রাখি, ইসরায়েলি বাহিনী এখনও পর্যন্ত ৮০০টি টানেল চিহ্নিত করেছে যদিও তারা বলছে যে, হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক এর চেয়েও অনেক বড়। কল্পনার অতীত। যেসব টানেলে ‘সীমিতভাবে’ সমুদ্রের জল দিয়ে প্লাবিত করার ‘পরীক্ষা’ শুরু করার কথা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। এতে টানেল নেটওয়ার্কে বড় স্কেলে পরিকল্পনামাফিক অপারেশন চালানো যাবে কি-না, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে।

অতএব, ইসরাইলি সেনারা নিজেদের লক্ষ্যপূরণে অবিচল। হামাসকে নির্মূল করাই এক এবং একমাত্র টার্গেট। গোটা বিশ্ব জানে, গাজা উপত্যকার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮০ ভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তেল আবিব গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, পৌঁছতে দিচ্ছে না খাদ্য, জ্বালানি, জল, বিদ্যুত। তার উপর বন্যা বোমার ছক। গাজার বুকে গ্রাউন্ড রেড আরও কতটা ভয়ঙ্কর হতে যাচ্ছে? বলবে সময়।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version